ইসমাঈল আযহার ও আবদুল্লাহ আফফান
পীরজঙ্গী মাদরাসা থেকে
বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের অন্তর্ভুক্ত কোনো মাদরাসা তাবলীগের চলমান দ্বন্দ্বের মুহূর্তে মাওলানা সাদের সঙ্গে ঐক্যমত পোষণ করলে সে মাদরাসাকে বেফাক থেকে বহিস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন মাওলানা মাহফুজুল হক।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় মতিঝিলের পীরজঙ্গী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হাইআতুল উলইয়ার শুকরানা মাহফিলের প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বেফাকের সহকারী মহাসচিব ও জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, উলামায়ে কেরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কোনো মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসরণ করলে প্রথম তাকে বোঝানো হবে এবং অবস্থান পরিবর্তনের সুযোগ দেয়া হবে। এতেও তিনি ফিরে না এলে বেফাক থেকে সে মাদরাসাকে বহিস্কার করা হবে।
দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই তিনি এ ঘোষণা দেন বলেও জানান।
বেফাকের এ ঘোষণার পর মঞ্চ থেকে অন্য পাঁচ বোর্ডের নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে মুফতি রুহুল আমীন (গওহরডাঙ্গা), মাওলানা আরশাদ রাহমানী (তানযিম) মুফতি মুহাম্মদ আলী (বেফাকুদ্দিনিয়া), মাওলানা এনামুল হক (সিলেট এদারা) এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা দারুল উলুম দেওবন্দের চিন্তাধারার যে কোনো সিদ্ধান্তে সব সময় ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকবো।
কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন
কওমি মাদরাসা আইন জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় আগামী ৪ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুকরানা মাহফিল বাস্তবায়নে ঢাকা ও আশপাশের কওমি মাদরাসার মুহতামিম ও উলামায়ে কেরামকে নিয়ে শুরু হয় এ প্রস্তুতি সভা। এতে প্রায় দুই শতাধিক উলামায়ে কেরাম অংশ নিয়েছেন বলে জানা যায়।
আল হাইআতুল উলইয়ার কো চেয়ারম্যান আল্লমা আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরামর্শ সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা আল্লামা আহমদ শফীর যে কোনো সিদ্ধান্তে একমত আছি এবং থাকবো। তার ডাকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সারা দেবো ইনশাল্লাহ।
বক্তারা বলেন, স্বীকৃতি উপলক্ষে শুকরানা মাহফিল ও প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা নিয়ে একটি গোষ্ঠী আগেও অপপ্রচার চালিয়েছে এখনো চালাচ্ছে। এমন কুচক্রি মহলের কথায় কেউ কান দেবেন না।
আরও পড়ুন: সংবর্ধনা বিষয়ে কোনো অপপ্রচারে কান দেবেন না: প্রস্তুতি সভায় আলেমগণ
-আরআর