শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


‘আল্লাহ ও জনগণের ওপর আমার বিশ্বাস আছে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ‘শাস্তি যখন পেয়েছে যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন আল্লাহ এবং বাংলাদেশের জনগণের ওপর আমার বিশ্বাস আছে, এমন একটা দিন আসবে, যারা রণক্ষেত্রে ব্যবহারের গ্রেনেড সাধারণ মানুষের ওপর প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে ব্যবহার করে হত্যার চেষ্টা করেছে তাদের সাজা পেতেই হব’

প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বুধবার ১০ম জাতীয় সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী এ সময় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এ সময় তিনি দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পাশাপাশি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার সাজা কার্যকরসহ সকল অন্যায় অবিচারের প্রতিকারে দেশবাসীর কাছে পুনরায় নৌকায় ভোট প্রত্যাশা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহ যদি চায় এবং আগামী নির্বাচনে যদি আমরা ফিরে আসতে পারি আমরা তাকে (তারেককে দেশে) ফিরিয়ে এনে শাস্তি দিতে পারবো। এজন্য আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া ও ভোট চাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই মামলায় তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে, তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্য কখনও চাপা দিয়ে রাখা যায় না, সত্য আপন নিয়মেই বেরিয়ে আসে। আজকে আদালতে সেই মামলা চলতে চলতেই সত্য বেরিয়ে এসেছে এবং আসামীরা সাজা পেয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই হত্যার যে বিচার করতে পেরেছি, সেটাই সবচেয়ে বড় কথা।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, মানুষ হত্যা করা, অত্যাচার করা তাদের একটা স্বভাব। তার পিতা জিয়াউর রহমান যেমন ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং তার মা (খালেদা জিয়া) এবং সে ২১ আগস্টের হত্যাকান্ডের সঙ্গে যে জড়িত, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা প্রসংগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সময় বিএনপি-জামায়াত জোট রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। তাদেরই প্ররোচনায় এবং তাদেরই পরিকল্পনায় সেদিন তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশে প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল।

হামলার পর অন্যায়ের ক্ষত মুছে ফেলতে শাসক শ্রেণী সক্রিয় ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, হামলার কোন আলামতও রক্ষা করা হয়নি। উপরন্তু যখন জনমত সৃষ্টি হলো এর বিচার করতে হবে তখন জজমিয়া নামক এক লোককে ধরে এনে তাকে বিচারের সম্মুখীন করে মামলার নাটক করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, এখনও অনেকে সেদিনের স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে বেঁচে আছে, গ্রেনেড হামলার আঘাত নিয়ে এখনও পঙ্গু অবস্থায় রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা তাঁর সেদিন দৈবক্রমে বেঁচে যাবার ঘটনা স্মরণ করে বলেন, ‘আমার নেতা-কর্মীরা মানব ঢাল সৃষ্টি করে আমাকে রক্ষা করায় আমি প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলাম। কিন্তু আইভি রহমানসহ দলের ২২ জন নেতা-কর্মী ঐস্থানে এবং পরে হাসপাতালে ধুঁকে ধঁকে মারা যায়।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশে ’৭৫ পরবর্তী শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, জাতির পিতার হত্যার বিচার না করে এর খুনীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশবাসীকে এই আহবান জানাবো যাতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আরেকবার দেশের সেবা করার সুযোগ দেন।

পাশাপাশি এই অন্যায়, অবিচার, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক দূর করে বাংলাদেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি।’ আল্লাহ যেন সেই সুযোগ তাঁকে দেন সেটাও মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

‘শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স’ ভবনের উদ্বোধন ২৮ অক্টোবর

এসএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ