আওয়ার ইসলাম: একাদশ সংসদ নির্বাচনের অপেক্ষায় পুরো দেশবাসী। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই চুড়ান্ত হচ্ছে সবকিছু। সপ্তাহ ঘুরলেই শুরু হবে চূড়ান্ত মুহূর্তের ক্ষণ গণনা। তফসিল ঘোষণায় সব ধরনের প্রস্তুতি গুছিয়ে রাখছে ইসি সচিবালয়।
২৭ অক্টোবর দেশের আট অঞ্চলে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে পুরো কমিশন ও ইসি সচিবালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা যাচ্ছেন ঢাকার বাইরে।
এরপর ৩১ অক্টোবর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়েছে। সিইসি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভোটের সময়সূচি ঘোষণার পরিকল্পনার কথাও ইতোমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ৩১ অক্টোবর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করব আমরা। সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সেদিনই দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পরই কমিশন সভা ডাকা হতে পারে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, কমিশন ফাইনাল সভায় তফসিল অনুমোদন হবে। এরপর বিটিভি ও বেতারে জাতির উদ্দেশে ভাষণের মধ্য দিয়ে তফসিল ঘোষণার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দশম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে বিটিভি মহাপরিচালক ও বেতার মহাপরিচালক ইসি সচিবের দপ্তরে এসেছিলেন। তফসিল ঘোষণার দিন ২৫ নভেম্বর সিইসির ভাষণ ধারণের জন্য দুপুরেই প্রস্তুতি শুরু হয় কমিশন কার্যালয়ে।
বিটিভির তৎকালীন মহাপরিচালক নিজে উপস্থিত থেকে সিইসির কক্ষ সাজানোর বিষয়টি তদারক করেন। পরে তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের প্রায় আধা ঘণ্টার সেই ভাষণ ধারণ করা হয়।
বিটিভি মহাপরিচালক বলেন, আমি এখনও ইসির কোনো চিঠি বা ভাষণ রেকর্ড সংক্রান্ত তথ্য পাইনি। নির্বাচন কমিশন যখনই বলবে আমরা সেজন্য প্রস্তত থাকব।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ৩১ অক্টোবের আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে কমিশনের নির্দেশনা পেলে বিটিভি ও বেতারকে এ বিষয়ে তারা জানাবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বৈঠকের পর গত বৃহস্পতিবার ইসি সচিব হেলালুদ্দীন জানান, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
মনোনয়ন দাখিল, বাছাই, প্রত্যাহারের শেষ সময় এবং প্রতীক বরাদ্দ শেষে প্রচারের পর্যাপ্ত সময় দিয়ে তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত ৪০-৪৫ দিন সময় রাখা হয়।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ৪ নভেম্বর!
এসএস