আওয়ার ইসলাম: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপিল শুনানিতে খালেদা জিয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চেয়েছে দুদক। আর পাঁচ বছরের সাজা বহাল রাখার আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
দুপুরে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। তবে, সকালে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন না করে আবারো সময় আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেয়। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আর শুনানিতে অংশ নেননি। এ বিষয়ে কাল আদেশ দেবে হাইকোর্ট।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। আটমাস ধরে তিনি নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোন কেন্দ্রীয় কারাগারে। রায়ের পরই খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। অন্যদিকে, সাজা বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে দুদক।
মঙ্গলবার সকালে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আরো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য আবেদন করলে আদালত তা নথিভুক্ত করেন। পরে তারা আবারো যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সময় আবেদন করেন।
কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেয়। এসময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালত থেকে চলে যান। এরপর আদালত দুদকের আইনজীবী ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে যুক্তিতর্ক শেষ করার নির্দেশ দেন।
দুপুর পর্যন্ত খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা শুনানিতে অংশ না নেয়ায় যুক্তিতর্ক শেষ ঘোষণা করেন আদালত। পরে বিকেলে অতিরিক্ত তথ্য-প্রমাণ নথিভুক্ত করার বিষয়ে আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
আরো পড়ুন-
নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
কওমি স্বীকৃতি ও হাইয়াতুল উলইয়ার কাছে আমাদের প্রত্যাশা
মৃত্যুকে যেভাবে আলিঙ্গন করেন প্রিন্সিপাল হাবীব রহ.