আওয়ার ইসলাম: গত সপ্তাহ স্কট মরিসন অকস্মাৎ ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তেল আবিব থেকে জেরুসালেমে তাদের ইসরায়েলি দূতাবাস স্থানান্তর করা হবে। এতে খুশি ইসরায়েল হয় এবং ফিলিস্তিনিরা ক্ষুব্ধ হয়।
জনমত জরিপে দেখা যায়, ওয়েন্টওর্থ অঞ্চলে ইহুদি ভোটারদের সমর্থন পাচ্ছেন তিনি। স্থানীয় ভোটারদের ১৩ শতাংশ ইহুদি ধর্মাবলম্বী। মুসলিমদের সঙ্গে ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরিকারী সরকারকে আগামী মাসে আরেকটি নির্বাচনে অবশ্যই জিততে হবে।
এই আসনে ক্ষমতাসীনদের হারিয়ে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কেরিন ফেল্পস। ফলে সংসদে কোনও আইন পাস করতে হলে মরিসনকে কেরিনসহ আরও চার স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে সমঝোতা করতে হবে।
দলের ভেতরে ক্যু-র মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া মরিসনের পূর্বসুরী ম্যালকম টার্নবুল জেরুসালেমে দূতাবাস হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
ফয়সাল মোহাম্মদ বলেন, সবাই এটার বিরোধিতা করেছে। তবে নাহিদা সাফার নামের এক নারী বলেন, আমরা বহু সংস্কৃতির দেশ। জেরুসালেমে কী হচ্ছে তা নিয়ে আমাদের ভাবা ঠিক না। আমি এটাই মনে করি।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি দ্বন্দ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অমীমাংসিত বিষয় হচ্ছে জেরুসালেমের অবস্থান। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরায়েলের একক রাজধানীর স্বীকৃতি দেন।
বিশ্বজুড়ে নিন্দা আর তুমুল প্রতিবাদের মধ্যেও দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যেই এ বছরের মে মাসে জেরুসালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে নিহত হন শতাধিক।
আরো পড়ুন- সিমের নম্বর ঠিক রেখে কম্পানি পরিবর্তন করবেন যেভাবে