আবদুল্লাহ তামিম: যুক্তরাজ্যের স্কুলগুলোতে হিজাব পরিধান জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। যুক্তরাজ্যের এমএন্ডএস নামের একটি পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের জন্য হিজাব বিক্রি শুরু করেছে বলে খবর দিয়েছে দ্যা টেলিগ্রাফ নিউজ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশটির অনেকগুলো বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এমএন্ডএস এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বসন্তে ভোক্তাদের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠানটি এসব হিজাব বাজারে নিয়ে আসে।
এমএন্ডএস যুক্তরাজ্যের অন্তত ২৫০টি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিফরম তৈরি করেছে। এসব বিদ্যালয় থেকে অনুরোধপ্রাপ্তির পর তারা শার্ট, স্কার্টের পাশাপাশি হিজাব সংযুক্ত ইউনিফরমের যোগান দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
এসব হিজাবের প্রতিটি প্রায় ৬ ইউরো মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে, যেগুলো ৯ বছর বয়সী মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি।
সম্প্রতি এমএন্ডএস নামের প্রতিষ্ঠানটি মুসলিম নারীদের জন্য শালীন পোশাক ‘বুরকিনি’ নিয়ে আসে এবং তাদের এ উদ্যোগের পরেই বিদ্যালয়ে হিজাব যোগানের উদ্যোগটি নেয়া হয়।
তবে হিজাবের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম শহরের শিক্ষা কেন্দ্রের প্রধান এল্যান স্মিথার্স ভিন্নরকম কথা বলেছেন। তিনি বলেন, বাজারের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া দেখানোর অধিকার এমএন্ডএসের রয়েছে।
কিন্তু বিদ্যালয়ের ইউনিফরম হিসেবে হিজাবকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এটি দেখে আমি আশ্চর্য হয়েছি, কারণ আমরা বিদ্যালয়ে সবার জন্য একটি সাধারণ মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। হিজাব শিশুদের আলাদা করতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র বলেন, আমরা প্রায় ২৫০টি বিদ্যালয়ের জন্য তাদের চাহিদা অনুযায়ী ইউনিফরমের যোগান দিয়ে থাকি। এ বছর বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় হিজাব সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ আসে। আমরা তাতে সাড়া দিয়ে এসব হিজাব সরবরাহ করছি।
LBC রেডিও এর উপস্থাপক ও Quilliam Foundation এর প্রতিষ্ঠাতা মাজিদ নেওয়াজ বলেন, ছোট ছোট মেয়ে শিশুদের চুল দেখানো একটি অভদ্রতা। তাই হিজাব সুন্দর একটি বিকল্প হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র সৌদি আরব ও ইরানের নারীদের জন্য সে দেশসমূহের আইন অনুযায়ী হিজাব পরিধান বাধ্যতামূলক। তবে যুক্তরাজ্যে এটি সত্যিই বিশ্বয়কর ব্যাপার।
সূত্র: দ্যা টেলিগ্রাফ, দ্যা গার্ডিয়ান
পাশ্চাত্যে হিজাব নিয়ে যেসব হাস্যকর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়