শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে ইসলামী দলগুলো কতটা সতর্ক?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী
আলেম ও কলামিস্ট

সামনে জাতীয় নির্বাচন। এ উপলক্ষ্যে সারাদেশে ভোটের হাওয়া বইছে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী বাছাই করছেন। আর সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। ইসলামী দলগুলোও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। নির্বাচনের সময় এমনটাই স্বাভাবিক। দলগুলোর চেষ্টা থাকে জনমত যাচাইয়ে বেশি বেশি প্রার্থী দিতে। কিন্তু এখানে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, যে কাউকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে দেয়া অপুষ্ট চিন্তা।

আগমী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলো বিভিন্ন জোটে রয়েছে। কেউ কেউ এককভাবে নির্বাচন করবে। দেখা যাচ্ছে বহু কর্মী নির্বাচনের খায়েশ নিয়ে প্রচারণার মাঠে আছেন। তাদের অনেকেই এতটাই আনকোড়া নেতা যে ভোটের মান তো রাখতেই পারবে না উপরন্তু দলের হেয় করবে এবং দলকে হাসির পাত্র বানাবে। জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কোয়ালিটি, ব্যক্তিত্ব, জনসম্পৃক্ততা, জনপ্রিয়তা এবং এলাকার মানুষের নিকট পরিচিত ও গ্রণযোগ্যতা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

মনে রাখা উচিত, ভোটে জয়ের বিপরীতে আরেকটা বিষয় থাকে তা হলে জামানত হারানো। দলগুলোকে বিশেষ করে ইসলামী দলগুলোকে খেয়াল করা উচিত সবখানে প্রার্থী দিয়ে যেন জামানত হারানোর রেকর্ড গড়তে না হয়।

অন্তত এমন প্রার্থীকে বাছাই করতে হবে যেন তিনি ভোটের মান রক্ষা করতে পারেন। প্রার্থী বেশি দেয়াটা ক্রেডিট নয়, বরং ভোটের মান রক্ষা করাটা জরুরি।

রাজনীতি একটি দীর্ঘ পথ। তৃণমূল থেকে ধীরে ধীরে উঠে এসে একজন নেতা হন। যারা নিজ এলাকা নিয়ে পড়ে থাকেন, জনগণের পাশে থেকে তাদের দুঃখ দুর্দশা দেখেন এবং তাদের মধ্যে সেবামূলক কর্মকাণ্ড আঞ্জাম দেন।

মানুষ আর যাই করুক অন্তত ভোটের সময় সঠিক রায় দিতে পারলে পছন্দের মানুষকেই রায় দেন। তাই ভোটে ইচ্ছুক নেতাদের আগে জনসম্পৃক্ত হতে হবে, জনগণের সেবায় এগিয়ে আসতে হবে এবং এলাকার মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

আপনার মাদরাসা হিসাব রাখতে এসে গেল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন

নির্বাচন ও জোট মহাজোটের ডামাডোলে অনেক অল্প বয়সী তরুণকে দেখতে পাচ্ছি। যারা জাতীয় নির্বাচনে যোগ্য নয়। তাদের আগে মেম্বার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া উচিত। নির্বাচন কোনো খেল তামাশা নয় যে ইচ্ছা করলাম আর দাঁড়িয়ে গেলাম।

দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে বলবো, আপনারা প্রার্থী বাছাইয়ের আগে যাচাই বাছাই করুন। এলাকায় প্রসিদ্ধ ও জনগণ কী চায় কাকে চায় তার দিকে খেয়াল করে প্রার্থী দিন। অযোগ্যকে প্রার্থী করে আমাদের হাসির পাত্র করবেন না।

আরেকটা বিষয় না বললেই নয়। একই এলাকায় একাধিক ইসলামী প্রার্থী দেয়া থেকে বিরত থাকুন। মানুষ ইসলামের একজন প্রার্থীকেই দেখতে চায়। ইসলামের নামে একই এলাকায় একাধিকজন একাধিক মার্কায় ভোট চাইবেন এটা কারও কাম্য নয়।

এতে বিরক্ত হবে, বিভ্রান্ত হবে এবং হাসাহাসি করবে। তাই উচিত সবাই সমঝোতা করে একক ইসলামী প্রার্থী দাঁড় করানো।

লেখক: রিসার্চ ফেলো, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া

‘স্বীকৃতির মাধ্যমে কওমি শিক্ষা ব্যবস্থা যুগোপযোগিতা পেয়েছে’

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ