বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

‘ক্ষমতাকেন্দ্রিক হানাহানিতে দেশকে অস্থিতিশীল করবেন না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ‘দুনিয়ায় এমন একদল বুযর্গ রয়েছেন— যারা কোন ব্যক্তিবিশেষের যেমন অন্ধ সমর্থন করেন না, তেমন কারো অহেতুক বিরোধিতাও পছন্দ করেন না; তারা কাউকে ভালোবাসলে যেমন ঘোষণা দিয়ে বাসেন না তেমন কাউকে অপছন্দ করলেও ঢাকঢোল পিটিয়ে করেন না; অথচ তাদের এই নিরব বিরোধিতা ও নিরব সমর্থনেই নিহিত রয়েছে দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণ।

আমরা সকল রাজনৈতিক দলের কাছে নিবেদন করব—ক্ষমতাকেন্দ্রিক হানাহানি ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে দেশকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেবেন না, আল্লাহর গযব থেকে ফিরে আসুন!’

বাংলার বরেণ্য আলেম

বুধবার (৩ অক্টোবর) ঢাকার মালিবাগস্থ খানকায়ে মুছলিহীনে অনুষ্ঠিত পীর-মাশায়েখদের বিশেষ সম্মেলনে দেশবরেণ্য খ্যাতনামা পীর সাহেবগণ এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ‘আরব-বিশ্বসহ সমগ্র মুসলিম জাহানে বিভিন্ন বাতিল ফের্কা ও মতাদর্শের প্রাদুর্ভাব প্রকট হয়ে উঠেছে। দ্বীন-ইসলামের খেদমতের নামে চরমপন্থী উগ্রবাদীদের দ্বারা খুব জোরে-শোরে তাহরীফে দ্বীন—ধর্মের বিকৃতি সাধন চলছে। তাজদীদে দ্বীন—ধর্মীয় সংস্কার ওলামায়ে হক্কানি ও আউলিয়ায়ে কেরামের কাজ, আর তাহরীফে দ্বীন—ধর্মের বিকৃতি সাধন ইসলামের দুশমন ও ধর্মদ্রোহীদের কাজ।

সংখ্যাধিক্য সত্ত্বেও সুষ্ঠু নেতৃত্বের অভাবে ইসলামের প্রকৃত অনুসারী তথা আহলে সুন্নত অল-জামায়াত কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। এমতাবস্থায় বাতিল, বেদয়াতি ও গোমরাহদের মোকাবেলায় দ্বীন-ইসলামের হেফাযতের জন্য কাদরিয়া চিশতিয়া নকশবন্দিয়া মুজাদ্দেদিয়াসহ সকল সুন্নিয়া তরীকার হক সিলসিলার ওলামায়ে কেরাম ও পীর-মাশায়েখদের কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন অপরিহার্য; প্রয়োজন প্রত্যেকের কাজের স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন।

পারস্পরিক সম্মান, পরিচয় ও যোগাযোগের এ সভা অব্যাহত থাকলে অচিরেই সমুদয় ইফরাতী-উগ্রপন্থী বাতিলদের পরাভব ঘটবে ইনশা আল্লাহ!’

পীর সাহেবগণ বলেন, ‘দ্বীন-ইসলামের অন্যান্য মৌলিক ফরযসমূহের মতো ‘ইত্তেহাদ’ বা ঐক্যবদ্ধতাও একটি মৌলিক ফরয। এই ফরয তরক করার কারণেই বিশ্বব্যাপী মুসলমান আজ অস্তিত্ব রক্ষার চরম সঙ্কটে নিপতিত।

এ অবস্থায় যারা এই ফরযিয়াতের গুরুত্ব উপলব্ধি করে নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন এবং ঐক্যের ডাক দিচ্ছেন—তা অনেকটা ‘আমার ছাতার তলে আসো’ ধরনের দলীয় কিংবা গোষ্ঠীগত আহ্বান হওয়ায় ঐক্যের পরিবর্তে তা অনৈক্যই সৃষ্টি করছে।’

তারা আরও বলেন, ‘মুজাদ্দেদে মিল্লাত হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ. এহেন দুর্দশা থেকে মুসলমানদের উত্তরণের লক্ষ্যে দল-মত-সিলসিলা নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য ‘ইত্তেহাদ মা’য়াল ইখতেলাফ’ তথা ‘মতানৈক্যসহ ঐক্যে’র এক যুগান্তকারী দর্শন পেশ করেছেন।

তাঁরই উত্তরসূরী আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুরের নেতৃত্বে দেশব্যাপী মুছলিহীনের যে ব্যাপকভাবে দাওয়াতী কার্যক্রম চলছে এবং পীর-মাশায়েখ, আলেম-ওলামাসহ ইসলামে বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যে এই কর্মসূচিতে একীভূত হচ্ছেন—তা জাতির জন্য নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক।

আমরা নাস্তিক্যবাদী অপতৎপরতা এবং ইসলামের নামে ফেৎনাবাজীর মোকাবিলায় দেশ, জাতি ও ঈমান রক্ষায় সকল মুসলমানদের তৌহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।

পীর সাহেবগণ বলেন, ‘আমরা দলীয় রাজনীতি করি না, দেশ-জাতি-ইসলামের স্বার্থে যারাই কাজ করে সে মুসলমান কিংবা হিন্দু, সরকারি বা বিরোধীদল যেই হোক, ভালো কাজের স্বীকৃতি দেয়া নৈতিক দায়িত্ব।

এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের শত্রু, ধর্মদ্রোহী দেশদ্রোহী নাস্তিকদের ব্লগিংয়ের নামে উস্কানীতে ব্যক্তিগত ও জাতীয় নিরাপত্তা যখন হুমকীর সম্মুখীন তখন সরকার উগ্রবাদী চরমপন্থীদের নিয়ন্ত্রণের কার্য্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করায় কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮ ধারায় ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

এক শ্রেণির উগ্র ধর্মবিদ্বেষী ব্লগিংয়ের নামে কী করছে তা সকলের জানা। সরকারের এ সিদ্ধান্তে গুটিকয়েক ধর্মবিদ্বেষী কষ্ট পেলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মবিশ্বাসী মানুষ আনন্দিত। কোনো চাপের মুখে এ অবস্থান থেকে সরকারের ফিরে আসা উচিত হবেনা।

উগ্র ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিকদের কঠোরভাবে দমন না করলে ওরা ক্রমান্বয়ে আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে সমাজের শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টে উদ্যত হবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া যায় না। সকল ধর্মবিশ্বাসী সাংবাদিক, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীর উচিত এ ব্যাপারে যথাযথ দায়িত্ব পালন করা।

অনুষ্ঠানে পীর-মাশায়েখগণের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ. এর ছেলে আমীরুল মুছলিহীন হযরত নেছারাবাদী হুজুর, ছারছীনা দরবারের মেঝ হুজুর রহ. এর জাঁনিশীন হযরত মাও. শাহ মুহা. ছাইফুল্লাহ সিদ্দিকী, হযরত মাও. শাহ্ মুহা. আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী প্রমুখ।

বর্তমান প্রেক্ষিতে ইসলামি রাজনীতিকদের কাছে কিছু প্রশ্ন

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ