শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবী জমিয়তের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সভাপতি আল্লামা আব্দুল মুমিন ও মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমি সম্প্রতি সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাসের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এই আইন বাতিলের দাবী জানিয়েছেন।

তারা বলেছেন, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার অসৎ উদ্দেশ্য থেকেই গণতন্ত্র, গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিরোধী নতুন নতুন কালা-কানুন করছে।

এরই অংশ হিসেবে সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করা হয়েছে। এই আইন সংবিধানে প্রদত্ত নাগরিকদের স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার, স্বাধীন গণমাধ্যম এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। নিপীড়নের জন্য রচিত এই কালো আইন জনগণ কখনোই মেনে নেবে না।

আজ (২ অক্টোবর) মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের শীর্ষ নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে জমিয়ত নেতৃদ্বয় আরো বলেন, সরকার ও প্রশাসনের দুর্নীতি, অন্যায়-অত্যাচার এবং জুলুম-নির্যাতনের খবর মিডিয়ায় যাতে না আসতে পারে এবং সাধারণ জনগণ যাতে সোচ্চার ও প্রতিবাদী হতে না পারেন, সেজন্যেই এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।

এ আইন মিডিয়ায় সত্য প্রকাশে যেমন বাঁধার সৃষ্টি করবে, তেমনি সাধারণ জনগণের মধ্যেও সরকার ও প্রশাসনের অন্যায়চারিতার প্রতিবাদ করতে ভীতি ছড়াবে। এই আইন দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পথে মারাত্মক হুমকি তৈরি করবে।

সরকার এই আইনকে বিরোধী জনমত দমনে নিষ্ঠুরতার সাথে প্রয়োগ করবে। আমরা এ আইন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। দেশের জনগণ কখনো এ আইন বাস্তবায়ন হতে দেবে না। যারা সাধারণ জনগণের মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তাদের পতন এই বাংলার মাটিতে অতীতেও হয়েছে এবারো হবে।

জমিয়ত সভাপতি ও মহাসচিব বিবৃতিতে আরো বলেন, দেশের গণমানুষ সরকারের জুলুম-অত্যাচার ও দুর্নীতির প্রতিবাদে এখন সরব হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও লুটপাট নিয়ে সাংবাদিকরাও কোন কোন ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে লিখে জনগণকে সত্য তথ্য দিচ্ছে। কিন্তু সরকার একের পর এক কালাকানুন করে নাগরিক অধিকার ও ভিন্নমতের টুঁটি চেপে ধরছে। এখন নতুন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করা হলো।

এই আইনে ১৪ বছর জেল ও এক কোটি টাকা জরিমানা উল্লেখ আছে। এই আইন শুধু লেখক, সাংবাদিক ও বক্তাদের নয়, এ আইন দিয়ে সরকার দেশের সব মানুষের বাকস্বাধীনতাকে কেড়ে নেবে। সরকারের বিরুদ্ধে কেউ সমালোচনা করলে তার বিরুদ্ধে এই আইনের খড়ক নেমে আসবে।

২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের শীর্ষ নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করার আহ্বানও জানিয়েছেন।

তারা বলেন, দেশে নিরপেক্ষ আইনের শাসন, ইনসাফ এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত হিসেবে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের বিকল্প নেই। এই লক্ষ্যে দেশব্যাপী জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে। এই ঐক্য তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং এই ঐক্যের উপর সকলকে দৃঢ় ও অবিচল থাকতে হবে।

চালু হয়েছে কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন

আরও পড়ুন: এখন সরকারি মাদরাসার ছাত্ররা কওমিতে এসে পরীক্ষা দেবে: আল্লামা শফী


সম্পর্কিত খবর