শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


নামাজের জন্য মসজিদ অপরিহার্য নয়: বলল ভারত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ‘নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদ অপরিহার্য নয়’- প্রয়োজনে মসজিদ-এর জমি অধিগ্রহণ করতে পারবে সরকার। ১৯৯৪ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দেয়া বিতর্কিত এ পুরনো রায় আবার নতুন করে বহাল রাখলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পুনঃবিচারের পর ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট এ রায় প্রদান করে।  সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি অশোক ভূষণ এ বিষয়ে সহমত হয়েছেন। কিন্তু বিচারপতি নাজির ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন।

সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, এ মামলা সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হবে না।  ভারতীয় এক অনলাইন পত্রিকা সূত্রে জানা যায়, অবসরের আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের এটিই শেষ রায়।

প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে বাবরি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ার পর ১৯৯৪ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একটি রায়ে জানিয়েছিল, যেকোনো জায়গায় নামাজ পড়া যেতে পারে, এর জন্য মসজিদ জরুরি নয়। তাই প্রয়োজন পড়লে সরকার মসজিদের জমি অধিগ্রহণ করতে পারার ক্ষমতা রাখে।

Porjoton soptah

রকমারিতে চলছে ট্যুরিজম বুক ফেয়ার

এই রায়ের ভিত্তিতেই ২০১১ সালে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত জমিটিকে তিন ভাগে ভাগ করেছিল, যার মূল অংশটি হিন্দুদের কাছে চলে গিয়েছিল। কিন্তু এই রায়কে সুপ্রিম কোর্টে হিন্দু ও মুসলমান সংগঠনগুলো চ্যালেঞ্জ করায় কোর্ট এ রায়কে অদ্ভূত বলে ব্যাখ্যা করে।

উচ্চ আদালতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানায়, এ রায় অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মালিকানা (মসজিদের না মন্দিরের সে) সংক্রান্ত মূল মামলার রায়কে প্রভাবিত করবে না।

নড়াইল-১ আসনে মুফতি রুহুল আমীনের ব্যাপক গণসংযোগ

তবে সচেতনমহল বলছে, এ রায়ের সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে বাবরি মসজিদের জমি অধিগ্রহণ ইস্যুতেও।  অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মন্দির তৈরি হবে নাকি মসজিদ- এই বহু আলোচিত মামলার রায়কে ভীষণভাবে প্রভাবিত করবে শীর্ষ আদালতের দেয়া আজকের রায়।

উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের দেয়া এ রায়ের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সুন্নি ওয়াক্‌ফ বোর্ড ইন্ডিয়া। এছাড়াও আড়াই দশকের বেশি সময় ধরে অনেকগুলো মুসলিম সংগঠন এ রায়ের ব্যাপারে আন্দোলন করে আসছিল।

তাদের চাওয়া ছিল, ‘এ মামলা বিচার ও রায় যাতে সাংবিধানিক বেঞ্চে করা হয়। সুন্নি ওয়াক্‌ফ বোর্ডের সে আবেদন শীর্ষ আদালত খারিজ করে আগের রায় বহাল রাখে।

নামাজ না পড়লে চাকরি থাকবে না: ইন্দোনেশিয়ার মেয়র

-আরআর


সম্পর্কিত খবর