শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

ইদলিবে ইস্যুতে এরদোগানকে ট্রাম্পের অভিনন্দন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে যুদ্ধাবস্থার মানবিক বিপর্যয় এড়াতে তুরস্কের কুটনৈতিক ভূমিকার জন্য দেশটির প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বুধবার দেয়া বক্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি তুরস্ককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সিরিয়ার ইদলিব প্রসঙ্গে সমঝোতা তৎপরতার জন্য। এ ব্যাপারে সহায়তার ইচ্ছা ও সক্ষমতা আমেরিকার আছে।

আমেরিকা এ বছর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। ইদলিবে আক্রমণ থেকে বিরত থাকায় রাশিয়া, ইরান ও সিরিয়া সরকারকেও ধন্যবাদ জানান ট্রাম্প।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের ধরুন এবং আমি আশা করছি, এ পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে। একই দিনে নিউইয়র্কের এক সংবাদ সম্মেলনেও ট্রাম্প তুরস্কের পুনরায় প্রশংসা করেন।

সেখানে তিনি বলেন, তুরস্ক ইদলিব নিয়ে অত্যন্ত চমৎকার কাজ করেছে এবং আমাদের প্রচুর সাহায্য করেছে। সম্প্রতি ইদলিবে উত্তেজনা কমাতে রাশিয়া ও তুরস্ক সমঝোতা স্মারক সাক্ষর করেছে।

ওই সমঝোতা অনুযায়ী উভয় দেশ ইদলিবে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গড়ে তুলবে। সেখানে কোন পক্ষ যুদ্ধে লিপ্ত হবে না এবং কোন সেনা ও সামরাস্ত্র রাখবে না।

১০ অক্টোবরের মধ্যে সেখান থেকে সব পক্ষকে অস্ত্র ও সেনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। ১৫ অক্টোবর থেকে এটা কার্যকর হবে। তবে নিরাপদ অঞ্চলে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তুরস্ক ও রাশিয়া সামরিক টহল পরিচালনা করবে।

মূলত সেখানে নিবৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বাশার আল-আসাদ সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যকার সম্মুখযুদ্ধকে।

এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিব এরদোগান ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস নিউইয়র্কে ইদলিব প্রসঙ্গে বৈঠক করেছেন।

সিরিয়ার উত্তেজনা নিরসন এবং কীভাবে দেশটির রাজনৈতিক তৎপরতা স্বাভাবিক করা যায় তাই নিয়ে তারা আলোচনা করেন।

আগামী সংসদে দেখা যেতে পারে ডজনখানেক আলেম সাংসদ

ইদলিব সিরিয়ার সর্বশেষ বিদ্রোহী অধ্যুষিত প্রদেশ। সিরিয়ার বিভিন্ন প্রদেশ থেকে রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতায় আসাদ সরকার কর্তৃক সশস্ত্র বিদ্রোহীরা বিতাড়িত হয়ে এখন ইদলিবে আশ্রয় নিয়েছে।

চারিদিক দিয়ে ঘেরাওকৃত ৭০ হাজার বিদ্রোহী যোদ্ধা ছাড়াও ইদলিবে প্রায় ৩০ লাখ বেসামরিক মানুষ বাস করেন। সিরিয়া সরকার সর্বাত্মক হামলা চালালে প্রচুর হতাহতেও আশঙ্কা করা হচ্ছিল।

এছাড়া যুদ্ধ হলে স্বাভাবিকভাবেই শরণার্থীদের ঢেউ আছড়ে পড়তো পার্শ্ববর্তী তুরস্কে। তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য চেষ্টা করে আসছিল। অবশেষে নিরাপদ অঞ্চল গড়ার মাধ্যমে জনমনে কিছুটা স্বস্থি ফিরে এসেছে।

সূত্র: ডেইলি সাবা

আপনার ব্যবসার হিসাব এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ