শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


চট্টগ্রামের জিরি মাদরাসায় ওয়াজাহাতি জোড় শুক্রবার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার চট্টগ্রামের অন্যতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া আরাবিয়া ইসলামিয়া জিরিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ওলামাদের কেরামদের সমন্বয়ে তাবলিগ জামাতের বিশেষ ওয়াজাহাতি জোড়।

এতে পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামের দাওয়াত ও তাবলিগের সাথীগণ এবং ধর্মপ্রাণ মুসলিম ও আলেম সমাজ অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

ওয়াজাহাতি জোড়ে দিকনির্দেশনা মূলক বয়ান রাখবেন জামিয়া জিরি’র মহাপরিচালক আল্লামা শাহ মোহাম্মদ তৈয়ব।

অন্যান্যদের মধ্যে আরো বয়ান পেশ করবেন বাংলাদেশ দাওয়াতে তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বি হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমদ, মাওলানা আবদুল মতিন ও মাওলানা রফিউদ্দিন।

এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

এছাড়া কাকরাইলের আরো মুরব্বিসহ চট্টগ্রামের উলামায়ে কেরাম বয়ান পেশ করবেন।

তাবলিগ জামাতের চলমান সঙ্কটকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের কাছে প্রকৃত বিষয় ও ওলামায়ে কেরামের অবস্থান তুলে ধরতে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে বিশেষ এ ওয়াজাহাতি জোড়।

গত ২৮ জুলাই ঢাকার মুহাম্মদপুরে দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামের উপস্থিতিতে প্রথম এ জোড় অনুষ্ঠিত হয়। পর্যায় ক্রমে সারাদেশেই এজোড় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অনুষ্ঠিত জোড়ে ৬ টি সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১. জমহুর উলামায়ে কেরাম একমত হয়েছেন, তিনটি মৌলিক কারণে- (ক) কোরআন ও হাদিসের মনগড়া ব্যাখ্যা, (খ) তাবলিগের গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে তাবলিগ ব্যতীত দ্বীনের অন্যান্য মেহনতকে যথা দ্বীনি শিক্ষা ও তাসাউফ ইত্যাদিকে হেয়প্রতিপন্ন করা।

(গ) পূর্ববর্তী তিন হজরতজি (হজরত মাওলানা ইলিয়াস রহ., হজরত মাওলানা ইউসুফ রহ, ও হজরত মাওলানা এনামুল হাসান রহ. এর উসুল ও কর্মপন্থা থেকে সরে যাওয়ার কারণে বর্তমানে মাওলানা মুহাম্মদ সাদ সাহেবকে অনুসরণ করা সম্পূর্ণভাবে বর্জনীয় ও নিষিদ্ধ।

২. মাওলানা মুহাম্মদ সাদ সাহেব হজরত মাওলানা এনামুল হাসান রহ. এর রেখে যাওয়া শুরায়ী নেযামকে উপক্ষো করে নিজেই নিজেকে আমীর দাবি করেছেন; যা শরিয়ত বিরােধী। তাই তার কোনােরূপ সিদ্ধান্ত-ফায়সালা বা নির্দেশ কাকরাইল তথা বাংলাদেশে বাস্তবায়িত করা যাবে না।

৩. দারুল উলুম দেওবন্দ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, মাওলানা মুহাম্মদ সাদ সাহেব আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতাদর্শ থেকে সরে গিয়ে নতুন কোনাে ফেরকা গঠনের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কোনাে জামাত বা ব্যক্তিকে নেযামুদ্দিনে পাঠানাে বা যাওয়া মুনাসিব হবে না।

অনুরূপভাবে নেযামুদ্দিন থেকে আগত কোনাে জামাতকে বাংলাদেশের কোনো জেলায়/থানায় ইউনিয়নে কাজ করার সুযােগ দেওয়া যাবে না।

আপনার মাদরাসার জন্য নিন কওমি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

৪. হজরত মাওলানা ইলিয়াস রহ., হজরত মাওলানা ইউসুফ রহ. ও হজরত মাওলানা এনামুল হাসান রহ এর বাতানাে পদ্ধতিতে দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ সারা দুনিয়াতে সমাদৃত ও গৃহীত হয়েছে।

তাই বাংলাদেশের তাবলিগের কাজ পূর্ববর্তী এই তিন হজরতের পদ্ধতিতে এবং উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। নতুন কোনাে পদ্ধতি চালু করা যাবে না। কাকরাইল, টঙ্গী ময়দান এবং জেলা মারকাযসহ সকল মারকায এই নীতিতেই পরিচালিত হবে।

৫. কাকরাইল মসজিদের যে সমস্ত শুরা সদস্য আমরণ মাওলানা মুহাম্মদ সাদ সাহেবের ভ্রান্ত আকিদা অনুসরণের হলফনামা করেছেন যা শরিয়ত পরিপন্থি- তারা শুরার সদস্য থাকার যােগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন।

অতএব, তাদেরকে তাবলিগের কাজে শুরা ও ফায়সাল না রাখার আহ্বান জানানাে যাচ্ছে ।

৬. ২০১৮-এ টঙ্গী ইজতেমায় সরকারের সাথে পরামর্শক্রমে আগামী ২০১৯-এর টঙ্গী ইজতেমার জন্য নির্ধারিত তারিখ- প্রথম পর্ব ১৮, ১৯, ২০ জানুয়ারি ও দ্বিতীয় পর্ব ২৫, ২৬, ২৭ জানুয়ারি এর সাথে আজকের মজমা ঐকমত্য পোষণ করছে।

ব্যবসাকে সহজ করতে এলো বিসফটি!

-আরআর


সম্পর্কিত খবর