শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


বিচার বিলম্বিত করতে চাইছেন খালেদা: বিচারক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হয়ে ইচ্ছা করেই বিচারে বিলম্ব ঘটাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচারক আখতারুজ্জামান।

বিএনপি নেত্রীর অনুপস্থিতিতে বিচারের আদেশ দিয়ে বিচারক বলেছেন, অবস্থায় বিচার হলেও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।

বৃহস্পতিবার আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার। দুদকের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল।

আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

দুদক ও আসামিপক্ষের শুনানির শেষে বিচারক আদেশ দেয়ার সময় বলেন, ‘মামলাটি সাত বছর ধরে চলছে। বিচার পর্যায়ে বেগম জিয়ার পক্ষে ৪০ বার সময় নেওয়া হয়েছে।

আত্মপক্ষ শুনানিতে ৩২ বার সময় নেয়া হয়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি আর আদালতে আসেনি। গত ৫ সেপ্টেম্বর এসে বলেছেন বারবার আসতে পারবেন না।

গত ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বরও তিনি আদালতে আসতে অনিচ্ছুক মর্মে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবারও তিনি আদালতে আসতে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।

এতে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয় যে খালেদা জিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে মামলার বিচারকাজকে বিলম্বিত করার জন্য আদালতে আসছেন না।’

‘অথচ মামলার অপর দুই আসামি প্রতিদিন হাজির হচ্ছেন। তাই ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪০ (এ) ধারা প্রয়োগের মাধ্যমে তার হাজিরা মওকুফ করে বিচার কাজ শুরু করলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। মামলাটিও দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হবে। তাই ৫৪০ (এ) ধারা প্রয়োগ করে আসামি বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতি মওকুফ করা হলো।’

বিচারক আখতারুজ্জামান ১১ টা ৩৩ মিনিটে বিচারক বিচারকাজ শুরুর জন্য এজলাসে ওঠেন। প্রথমে দুদকের প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে কি না ও তার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্তে আদেশ এবং যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য আছে। এ সংক্রান্তে আদেশ দিতে আদালতের কাছে অনুরোধ করছি।’

এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘আমরা ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে বুধবার দেখা করেছি। আমাদের বলেছেন, তিনি আদালতে আসতে অনিচ্ছুক নন।

অসুস্থতার জন্যই আদালতে আসতে পারছেন না। সুস্থ হলেই তিনি আদালতে আসবেন। আমরা বিশেষায়িত একটি হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আদালতেও একটি আবেদন দিয়েছি।’

আরও পড়ুন:
সংসদে পাস হওয়া কওমি মাদরাসা সনদের বিলে যা আছে
কওমী স্বীকৃতিকে কীভাবে দেখছেন অভিভাবকরা?
প্রধানমন্ত্রীকে কওমি জনতার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন

কম খরচে কওমী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের বিস্তারিত তথ্য জানুন

আপনার ব্যবসাকে সহজ করুন। – বিস্তারিত জানুন


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ