শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


ফজরের নামাজ আদায়কারীর জিম্মাদার সয়ং আল্লাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তারেক সাঈদ: দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা সবার জন্যই অবশ্য পালনীয় বা ফরজ ইবাদত। এর মধ্যে ফজরের নামাজের ব্যাপারে বিশেষ কথন রয়েছে।

কুরআনে কারীমে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন: قال تعالى: أقم الصلاة لدلوك الشمس إلى غسق الليل قرآن الفجر أن قرآن الفجر كان مشهودا.

‘নামাজ কায়েম করো সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত এবং ফজরের কুরআন পাঠও। নিশ্চয়ই ফজরের কুরআন পাঠ মুখোমুখি হয়’। সুরা : বনি ইসরাঈল: ৭৮

এ আয়াতে, قرآن الفجر দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ফজরের নামাজ। কেননা, কুরআন নামাজের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইবনে কাসির, কুরতুবী, মাজহারী প্রমুখ তাফসীরবিদও একই অর্থ লিখেছেন।

সুতরাং ফজরকে আলাদাভাবে উল্লেখ করার দ্বারা অধিক গুরুত্ব বুঝিয়েছেন। আর كان مشهودا দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- সহিহ হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী বুঝা যায়, দিবা-রাত্রির ফেরেশতারা এই নামাজে অংশগ্রহণ করেন।

তাই مشهودا শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে। তফসীরে মা'রিফুল কুরআন -৭৮৬ পৃষ্ঠা।

হযরত আবু হোরায়রা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সা. কে বলতে শুনেছি-
تفضل صلواة الجميع على صلواة احدكم وحده بخمس وعشرين جزءا ويجتمع ملائكة الليل وملائكة النهار فى صلواة الفجر(صحيح بخارى)-

‘জামাতে সালাত তোমাদের কারো একাকী সালাতের চেয়ে পঁচিশগুণ ফযিলত পূর্ণ। রাতের ফেরেশতারা ও দিনের ফেরেশতারা ফজরের সালাতে একত্রিত হন।’ সহিহ বুখারী-৬২১

ফজরের নামাজ আদায়কারী আল্লাহর দরবারে অত্যন্ত সম্মানিত হয়ে থাকেন।

উল্লেখ্য, ফজর আদায়কারী ব্যক্তির দায়দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা গ্রহণ করেন। হাদীসে এসেছে- عن جندب ابن عبد الله رضى الله قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم مَن صَلَّى الصُّبحَ فَهُوَ فِي ذِمَّةِاللَّهِ ، فَلا يَطلُبَنَّكُمُ اللَّهُ مِن ذِمَّتِهِ بِشَيْءٍ فَيُدرِكَهُ فَيَكُبَّهُ فِي نَارِ جَهَنَّمَ- رواه مسلم

হযরত যুনদব ইবনে আব্দুল্লাহ বলেন রাসুল সা. বলেছেন যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে। আল্লাহ যাকে পাকড়াও করেন তার কেউই তার অধীনে নেই। মুসলিম-৬৫৭

বিসফটি কী, কিভাবে আপনার ব্যবসাকে সহজ করে? – বিস্তারিত জানুন

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ