শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান ঢাকাস্থ চাঁদপুর ফোরামের সেতুবন্ধন সভা অনুষ্ঠিত অর্থবহ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়: প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ বিস্ময়কর হাফেজ শিশুর সঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহ মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন ১৬ টি বছর জুলুম-ষড়যন্ত্রের মধ্যে ছিল মাদরাসার ছাত্ররা: ড. শামছুল আলম 

রোহিঙ্গাবিরোধী প্রচারণায় ভুয়া ছবি দিয়ে ধরা খেলো মিয়ানমার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তমিম: রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রকাশিত একটি বইয়ে ভুয়া তথ্য ও ছবি দিয়ে বিভ্রান্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

বইয়ের একটি ছবিতে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি জমি নিড়ানি নিয়ে দুই লাশের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আর নিচে ক্যাপশনে লিখা আছে- স্থানীয়দের নির্মমভাবে হত্যা করেছে বাঙালিরা।

বইটিতে ১৯৪০ এর দশকে মিয়ানমারে দাঙ্গার অধ্যায়ে ওই ছবিটি প্রকাশ করা হয়েছে। বার্মিজ ভাষায় ছবির বিবরণে বলা হয়েছে, মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা বৌদ্ধদের হত্যা করেছে।

রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে তুলে ধরতে বইয়ে তাদের ‘বাঙালি’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

কিন্তু রয়টার্স ছবিটি পরীক্ষা করে দেখেছে যে, সেটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তোলা হয়েছিল, যখন লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী।

গত জুলাইয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক রিলেশনস অ্যান্ড সাইকোলজিক্যাল ওয়ারফেয়ার থেকে বইটি প্রকাশ করা হয়।

একটি ছবির মিথ্যা ক্যাপশনে বলা হয়-‘বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গা’, যেটি আসলে রুয়ান্ডার গৃহযুদ্ধের সময়কার একটি ছবি।

এদিকে এসব ছবির সত্যতা নিশ্চিত করতে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হতয়ে বা সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তবে মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব উ মিও মিন্ট মং মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছেন, তিনি বইটি পড়ে দেখেননি।

মিয়ানমারের রাজনীতি ও তাতমাদো প্রথম পর্ব’ নামে ১১৭ পৃষ্ঠার ওই বইয়ে গত বছরের আগস্টের সামরিক অভিযান নিয়ে সেনাবাহিনীর ভাষ্য তুলে ধরা হয়েছে।

জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর হিসেবে, সেনাবাহিনীর ওই অভিযানে ব্যাপক হত্যা, ধর্ষণ আর জ্বালাও পোড়াওয়ের মধ্যে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তাতমাদো মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল নাম।

বইটিতে প্রকাশিত বেশিরভাগ তথ্যের উৎস হিসেবে সেনাবাহিনীর ‘ট্রু নিউজ’ ইউনিটের কথা বলা হয়েছে। গত বছর সংকট শুরু থেকেই ওই ইউনিট সেনাবাহিনীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মূলত ফেসবুক ব্যবহার করে ঘটনাপ্রবাহের ‘সংবাদ’ দিয়ে আসছে।

মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের সব বইয়ের দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে এই বইটি। শহরের অন্যতম বড় বইয়ের দোকান ইনওয়ার একজন কর্মী জানান

তারা ৫০ কপির অর্ডার দিয়েছিলেন, সেগুলো বিক্রি হয়ে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মী বলেন, আপাতত নতুন করে এই বই আনার কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই, কারণ খুব বেশি মানুষ ওই বই নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি।

সেনাবাহিনীর তাদের এই নতুন বইয়ে কোনও নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে সহিংসতার জন্য উল্টো ‘বাঙালি সন্ত্রাসীদের’ ওপর দায় চাপিয়েছে।

সেনাবাহিনীর এই বইয়ে রোহিঙ্গাদের শেকড়ের ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যাদেরকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে বর্ণনা করে থাকে।

বইয়ের সূচনায় লেখক লে. কর্নেল কিয়াও কিয়াও উু লিখেন, ‘বাঙালিদের ইতিহাস উদঘাটনের’ লক্ষ্যে ‘ডকুমেন্টরি ফটো’ ব্যবহার করে বর্ণনা তৈরি করা হয়েছে।

রয়টার্স জানাচ্ছে, ওই বইয়ে ৮০টি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ঐতিহাসিক ছবি হিসেবে আটটি ছবিকে ব্যবহার করা হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে তিনটিই ভুয়া বলে রয়টার্সের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। তবে বাকি পাঁচ ছবির সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।

সূত্র: রয়টার্স

এখন ব্যবসার হিসাব হবে সফটওয়ারে – বিস্তারিত জানুন

আরো পড়ুন-

তালাকের মহামারি; সমাজের দুই বাহুর ভাবনা!
বিশ্বমুহাম্মদ সা. এর ব্যঙ্গচিত্রের প্রতিবাদে উত্তাল 

এটি/আওয়ার ইসলাম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ