আবদুল্লাহ তামিম: যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভ্যানিয়ায় ক্যাথলিক চার্চে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ পাওয়ার পর ডাবলিনেও পড়েছে এর প্রভাব। পোপের উপর ক্ষেপেছে মানুষ।
ধারণা করা হচ্ছে ৬ লাখেরও বেশি মানুষ জড়ো হবেন আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে পোপ ফ্রান্সিসকে এক নজর দেখতে।
কিন্তু তারপরও একসময়ের ক্যাথলিকদের ঘাঁটি এখন আর আগের মতো নেই। ২০০৫ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে চার্চে যাওয়া ক্যাথলিকদের সংখ্যা কমে যায় ২০ শতাংশ।
ইউরোপের সবচেয়ে বড় সিটি পার্ক ফিনিক্সে রোববার ক্যাথলিকদের সামনে হাজির হবেন পোপ ফ্রান্সিস। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ওয়ার্ল্ড মিটিং অফ ফ্যামিলিস।
কিন্তু এর বাইরে চলছে প্রতিবাদ। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভ্যানিয়ায় ক্যাথলিক চার্চে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ পাওয়ার পর ডাবলিনেও পড়েছে এর প্রভাব।
পোপকে এক নজর দেখতে হাজার হাজার ক্যাথলিক বিভিন্ন জায়গা থেকে জড়ো হয়েছেন ডাবলিনে। তাদের একজন পর্তুগাল থেকে আসা ২০ বছর বয়সি মিলেনা পেরেইরা বলছেন, ‘বিভিন্ন চার্চে যেসব বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে, পোপ তা মোকাবিলার যথেষ্ট চেষ্টা করছেন।
পেরেইরার আশা, শিগগিরই পুরো ব্যবস্থাটা সংস্কার হবে, সমচিন্তার মানুষদের পোপ উচ্চ পদে নিয়োগ দেবেন। তিনি বলেন, ‘এই পোপ যদি আরো পাঁচ বছর থাকেন, তাহলে আমরা ভিন্ন এক চার্চ দেখতে পাবো’।
১৯৭৯ সালে পোপ জন পল-২ যখন আয়ারল্যান্ডে এসেছিলেন, তখনও দেশটি ছিল ক্যাথলিকদের বেশ শক্ত ঘাঁটি। প্রায় ১৫ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন ফিনিক্স পার্কে। তখন পোপের উপস্থিতিতে কোনো প্রতিবাদ করাকে অপবিত্র বলে ধরে নেয়া হতো।
কিন্তু এখন অবস্থা ভিন্ন। ডাবলিন সিটি মেয়র ম্যানিক্স ফ্লিন নিজেই শহরের বিনোদন এলাকা টেম্পল বারে একটি আর্ট ইনস্টলেশন স্থাপন করেছেন। সেখানে ১৯ টি কাঠের বোর্ডে যাজকদের হাতে ধর্ষণ হওয়া শিশুদের কথা লেখা আছে।
ফ্লিন নিজেও এই শিশুদের একজন। ১১ বছর বয়সে তাকে ধর্ষণ করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রার্থনা বা সমবেদনার প্রয়োজন নেই।
এসব মানুষ এবং যারা এসব ঘটনা ধামাচাপ দিতে চেয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং আদালতে হাজির করতে হবে।’
আরো পড়ুন–
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে অংশ নিয়েছে ৬৩ হাজারের বেশি রুশ সেনা
প্রিয়নবির স্মৃতি বিজড়িত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা
মসজিদে নববীর অদূরে ঐতিহাসিক ৩ মসজিদ
ব্যবসার হিসাব নিকাশ এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক
এটি/আওয়ার ইসলাম