শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


‘আপনার জন্য লজ্জা, মিত্র ত্যাগ করছেন’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: তুরস্কের অর্থনীতির নিম্নগামীতার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির ওপর দ্বিগুণ হারে শুল্ক আরোপ এবং নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশটির পুরোনো বন্ধু রাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রাচ্যের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সামরিক মিত্রকে খুবই চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

যার প্রভাবে উভয় রাষ্ট্রের রাজনৈতিক এবং আঞ্চলিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

গত সপ্তাহগুলোতে তুর্কি মুদ্রা লিরার মান নিম্নমুখী হওয়াতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ট্রাম্প তাকে পেছন থেকে চুরি চালিয়েছে।

এরদোগান এসময় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘তুরস্ক নতুন বন্ধু এবং মিত্রের খোঁজে রয়েছে।’ এরদোগানের এই বিবৃতির ফলে রাশিয়া আগ্রহ দেখিয়ে তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলে, ডলারকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে ত্যাগ করতে হবে এবং এভাবেই ডলারের মান নিম্নমুখী হবে। এতে করে লিরার মান বৃদ্ধি পাবে।

যদিও তুরস্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার মিত্রতা ন্যাটোর সৌজন্যে অতটা সহজে ভেঙ্গে পড়বে না বলেই মনে হচ্ছে। ১৯৪৬ সাল থেকেই তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের অন্যতম মিত্র বলে বিবেচনা করে।

তুরস্কে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ইনক্রিলিক বিমান ঘাঁটি যেখানে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক মিসাইল ব্যবস্থা মোতায়েন করে রেখেছে এবং এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে আইএস সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে চাপের মুখে রেখেছে।

আটলান্টিক কাউন্সিলের একজন বিশেষজ্ঞ অ্যারন স্টেইন যুক্তি দেন যে, ‘এখনো এমন কোনো সূত্রের দেখা মিলছে না, যাতে করে তুরস্ক এরকম মিত্রতা ছেড়ে যাবে।’ তিনি চলমান ঘটনাকে এরদোগানের নিয়ন্ত্রণে বলে ব্যাখ্যা দেন।

স্টেইন আরো বলেন, তুরস্ক ১৯৫২ সাল থেকেই ন্যাটোর মিত্র এবং ইনক্রিলিক বিমান ঘাঁটি শুধুমাত্র ন্যাটোর প্রয়োজনেই ব্যবহার করা যাবে। ‘কিন্তু এটি একটি ফাঁকা হুমকি যে, ইনক্রিলিক বিমান ঘাঁটির মিশন বাতাসে উড়ে যাবে এবং এরদোগান নিজেকে আইএসের সাহায্যকারী রূপে দেখাতে পছন্দ করবেন না।’

ট্রাম্পের তুরস্কের ধাতুর উপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ তেমন ফলপ্রসূ হবে না যেটা মূলত ডিজাইন করা হয়েছে তুরস্কের যন্ত্রণাকে সর্বোচ্চ দিকে নেয়ার জন্য এবং তুরস্ককে যাজক এন্ড্রু ব্রানসনকে মুক্তি দেয়ার চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসাবে যাতে এরদোগানের হাতে মাত্র কয়েকটি পথ খোলা থাকে।

তথাপি স্টেইন যুক্তি দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ইনক্রিলিক ঘাঁটি থেকে বের করে দেয়ার হুমকি তেমন একটা কাজে দিবে না কারণ এই ঘাঁটিটি পরিচালিত হয় কিছু আন্তর্জাতিক চুক্তি দ্ধারা এবং এর জন্য তুরস্কের সংসদের সম্মতিরও প্রয়োজন রয়েছে।এরাবিয়ান জার্নাল।

ব্যবসার হিসাব নিকাশ এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক

আরএম/

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ