শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


মঙ্গলবার ফজর থেকে পড়ুন তাকবিরে তাশরিক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:৯ যিলহজ ফজর থেকে ১৩ যিলহজ আছর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর তাকবীরে তাশরীক পড়া ওয়াজিব। পুরুষ-মহিলা, মুকীম-মুসাফির, একাকি নামায পড়া ব্যক্তি ও জামাতে নামায পড়া ব্যক্তি – সকলের উপরেই ওয়াজিব। তাকবীরে তাশরীক এই-

الله أكبر، الله أكبر، لا إله إلاالله والله أكبر، الله أكبر ولله الحمد

বাংলা উচ্চারণ: ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, ওয়ালিল্লাহিল হামদ’ বলা ওয়াজিব।

কতবার পড়বেন?

পূর্ণ তাকবিরে তাশরিক তিনবার পড়ার বর্ণনা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফিকহবিদরাও তিনবার বলার প্রতি গুরুত্ব দেননি। অবশ্য কেউ যদি সুন্নত মনে না করে এমনিতেই তিনবার বলে তবে সেটাকে বিদআত বলাও উচিত নয়। (আলআওসাত, হাদীস: ২১৯৮; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস: ৫৬৯৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৭; আলবাহরুর রায়েক ২/১৬৫)

এই তাকবির তিনবার বলা সুন্নত বা মুস্তাহাব নয়। সাহাবায়ে কেরাম (রা.) কীভাবে তাশরিকের দিনগুলোতে তাকবির বলতেন, তা হাদীসের কিতাবে বর্ণিত হয়েছে। সেখানে একাধিকবার তাকবিরের কথা উল্লেখ নেই। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস: ৫৬৯৮, ৫৬৯৯; আলআওসাত, হাদীস: ২১৯৮, ২২০০)

তাকবির সম্পর্কে আরো কিছু মাসআলা

১. ইমাম তাকবির বলতে ভুলে গেলে ও মুক্তাদির তাকবির বলা ওয়াজিব। (ফাতওয়ায়ে শামী ১ম খণ্ড ৭৭৭ পৃষ্ঠা)

২. পুরুষেরা তাকবির উচ্চ-মধ্যম স্বরে আর নারীরা অনুচ্চস্বরে বলবে। পুরুষ উচ্চস্বরে না পড়ে আস্তে আস্তে পড়লে ওয়াজিব আদায় হবে না।

৩. মাসবুক তার নামায আদায় করে তাকবির বলবে। (ফাতাওয়ায়ে শামী ১ম খণ্ড-৭৮৬পৃষ্ঠা )

৪. যদি মুসল্লি ফরয নামাযের পর তাকবির বলতে ভুলে যায় এবং কিছু কাজ করে ফেলে যার দ্বারা নামায নষ্ট হয়ে যায় (যেমন মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া, অথবা ভুলে বা ইচ্ছায় কথা বলা অথবা ইচ্ছা করে অজু ভঙ্গ করা), তবে তার উপর থেকে তাকবির বলা রহিত হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া শামী ১ম খণ্ড, ৭৮৬ পৃষ্ঠা)

আরও পড়ুন-

এক নজরে আইয়ামে তাশরিক এবং তাকবির
মুসাফির ব্যক্তিও তাকবিরে তাশরিক পড়বে কি?


সম্পর্কিত খবর