মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫


ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই মজলিসের সঙ্গে সমঝোতা করছি: এরশাদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মধ্যে একটি নির্বাচনী সমঝোতা সম্পন্ন হয়েছে।

আজ শনিবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটউটে এক সংবাদ সম্মেলনে দল দুটি ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনের ঘোষণা দেয়।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাপার চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান এবং উভয় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

৬ দফা ‍চুক্তির ভিত্তিতে শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহ. প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জাতীয় পার্টির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলো।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেন, ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই খেলাফত মজলিসের সঙ্গে আমরা সমঝোতা করেছি। আগামী নির্বাচনে আমরা একসঙ্গে থাকবো।

আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে বলেন জানান তিনি। এমনকি বিএনপি নির্বাচনে না এলেও জাতীয় পার্টি নির্বাচন করবে বলে সিদ্ধান্ত নেবে জোট।

এরশাদ আরও বলেন, বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পরিবর্তন আমরা চাই না। এই সিইসিকে তো আমরাই চেয়েছিলাম।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট গঠন করেছি। বাংলাদেশে ইসলামের বাতি জ্বালাতেই আমরা একত্রিত হয়েছি। ইনশাল্লাহ আমরা সফল হবো।

সম্মেলেন আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির নেতা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, জিএম কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সহসভাপতি মাওলানা ইসমাইল নুরপুরী,  মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক প্রমুখ।

[ব্যবসার যাবতীয় কাজ সহজ করতে এলো বিসফটি।  এখনই রেজিস্ট্রেশন করুন বিসফটি।]

সরকার গঠন করলে ৬ দফা বাস্তবায়ন করা হবে এমন চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্ত হয়েছে জাতীয় পার্টির সঙ্গে। চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে-

১. কুরআন সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন সংসদে পাশ করা হবে না।

২. সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনস্থপান করা হবে। যা বর্তমান সরকার বাতিল করেছে।

৩. কওমি মাদরাসার সরকারি স্বীকৃতি জাতীয় সংসদে আলোচনার মাধ্যমে পাশ করা হবে।

৪. হজরত মুহাম্মদ সা. ইসলামের সর্বশেষ নবী এ বিষয়টি সংবিধানে সংযোজন করা হবে।

৫. নবী ও রাসূল সা. এবং সাহাবায়ে কেরামের কটূক্তির শাস্তি দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

৬. ইসলামের বিরুদ্ধে কটুক্তির শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হিসেবে কার্যকর করা হবে।

এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনী জোট করছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

এরশাদ আলেমদের প্রতি আন্তরিক; সংসদেও দেখতে চান: আতাউল্লাহ আমিন

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ