বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


আসামের মুসলমানরা এখন যাবেন কোথায়?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আসামের মুসলমানদের অনুপ্রবেশকারী আখ্যা দিয়ে নাগরিক তালিকা থেকে বাদ দিতে যাচ্ছে মোদি সরকার। স্থানীয় হিন্দুদের অধিকার খর্ব হচ্ছে দাবি করে সেখানকার মুসলমানদের জন্মভিটা ছাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে।

আজ সোমবার দুপুর ১২টা থেকে আসামের নাগরিকত্ব নিবন্ধন তালিকা প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে প্রকাশিত এ তালিকায় মুসলিম নাগরিকদের প্রশ্নবিদ্ধ করে নিবন্ধনের বাইরে রাখা হচ্ছে। এতে প্রায় দেড় লাখ মুসলিম ভিটেহারা হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তাদের পাশাপাশি প্রথম ধাপে তালিকায় স্থান না পাওয়া ১ কোটি ৩৯ লাখ অধিবাসীর ভাগ্যও নির্ধারিত হতে যাচ্ছে চূড়ান্ত ওই তালিকা প্রণয়নের মধ্য দিয়ে। ২২ লাখ পৃষ্ঠার এই নাগরিক তালিকাকে ঘিরে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ তুঙ্গে। প্রধম ধাপে প্রণীত তালিকার অভিজ্ঞতায় নাম বাদ পড়ার শঙ্কায় ভুগছেন বিপুল সংখ্যক বাংলাভাষী মুসলিম অধিবাসী।

মুসলিম জনসংখ্যার দিক থেকে আসামের অবস্থান ভারতে দ্বিতীয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ২০১৬ সালে আসামে সরকার গঠন করে। বিজেপি সরকার আসার পরেই বাংলাদেশি শরণার্থী উৎখাতের নামে আসামী মুসলিমদের উৎখাতে উদ্যোগী হয় আসাম সরকার। কে বাংলাদেশ থেকে এসেছে আর কে অসমের বাসিন্দা এই নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট বিশ্লেষণ ছাড়াই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

স্থানীয় হিন্দুদের কর্মসংস্থান নষ্ট করছে দাবি করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার শপথ নিয়েছিল তারা। এরই ধারাবাহিকতায় একটি আদমশুমারি চালানো হয়। ১৯৫১ সালের পর এটিই আসামে পরিচালিত প্রথম আদমশুমারি। ওই আদমশুমারির ভিত্তিতে গত ৩১ ডিসেম্বর আসামে জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) তালিকার প্রথম খসড়াটি প্রকাশ হয়।

প্রকাশিত খসড়া তালিকায় স্থান পায়নি প্রায় ১ কোটি ৩৯ লাখ বাসিন্দা। যাচাই বাছাই শেষে তাদের নাম পরবর্তী ধাপের তালিকায় যুক্ত করা হবে বলে জানায় রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। বলা হয়, পূর্ণাঙ্গ নাগরিক তালিকায় যাদের নাম থাকবে না তাদেরকে ‘অবৈধ’ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করা হবে। সে পূর্ণাঙ্গ তালিকাটি প্রকাশিত হচ্ছে সোমবার (৩০ জুলাই)।

৩ সিটিতে চলছে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ

এসএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ