আওয়ার ইসলাম: রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনায় ৪ জন শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দেশেজুড়ে শোক বইছে। একের পর এক বাস দুর্ঘটনায় বিপর্যস্ত দেশবাসী।
রোবরবার কুর্মিটোলার এমইএস এলাকায় জাবালে নূর বাসের ধাক্কায় ২ কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। আহত হয় আরও ১২জন।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা সবাই রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অন্য বাসকে আটকাতে গিয়েই এ দুর্ঘটনা ঘটে। ড্রাইভার ও হেলপার চাইলেই এই দুর্ঘটনা হতো না।
জানা যায়, জাবালে নূর নামের একটি বাস দ্রুতগতিতে ওভারটেক করতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটায়। মূলত পেছনের বাসটি সামনের বাসটিকে আটকে দিতে চেয়েছিল। দ্রুতগতিতে টার্ন নিয়ে সামনে ঢুকতেই যাত্রীদের ওপর উঠে পড়ে বাসটি।
নিহতদের মধ্যে দিয়া খান মিম বরিশালের জাহাঙ্গীর ফকিরের মেয়ে। সে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল। মিম বাবা-মার সঙ্গে মহাখালী দক্ষিণ পাড়ায় থাকতো।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, এমইএস এলাকায় রাস্তার পাশ দিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী বাসায় ফিরছিল। এসময় জাবালে নূর নামে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের ধাক্কায় দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দুই শিক্ষার্থী নিহত ও ১৪ জন আহত হয়।
গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল আহাদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনাস্থল থেকে বাসচালক ও তার সহকারীকে (হেলপার) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এ দিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে কলেজটির শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও জনতা এ ঘটনায় ইসিবি চত্বরের সামনে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং আরও অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর করে।
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
-আরআর