শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


‘নিজামুদ্দিন-রায়বেন্ড নয়, বাংলাদেশের আলেমদের মতেই এদেশের তাবলিগ চলবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম, মঈনুদ্দীন তাওহিদ: মারকাজুশ শাইখ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ বলেন, আজকের ঢাকা শহরে পুরো বাংলাদেশ থেকে উলামায়ে কেরাম আসছেন। শীর্ষস্থানীয় বুজুর্গানে দিন এসেছেন। আমার খুশি লাগতেছে। কিন্তু আমি চিন্তিত একটি বিষয়ে আজ থেকে দশ বছর আগে আমরা চিন্তাও করতে পারি নাই এভাবে তাবলিগ জামাত নিয়ে আলেমদের সম্মেলন করতে হবে।

শনিবার (২৮ জুলাই) রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে তাবলিগ জমাতের সংকট নিরসনে আয়োজিত ওয়াজাহাতি জোড় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজ আমরা তাবলিগ নিয়ে বসেছি- কারণ কাফেরদের কু দৃষ্টি এখানে পড়েছে। দুঃখের বিষয় একজন ব্যক্তির ভুল শুধরানোর জন্য কাজ করায় আলেমদের আজ গালি দেয়া হচ্ছে। অথচ ফতোয়ায়ে আলমগিরির ইবারত অনুযায়ী আলেমকে গালি দেয়া কুফুরি।

তিনি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব এ দেশের জাতির কাছে আহবান করে বলেন, স্বাধীন দেশে আমরা স্বাধীনভাবে তাবলীগের কাজ করবো। এক্ষেত্রে নিজামুদ্দিন বা রায়বেন্ড পরাধীনতা আমরা মানবো না।

আজ আমি মুরব্বিদের অনুরোধ একটা প্রস্তাব রাখছি, আজ থেকে বাংলাদেশের তাবলিগের মারকাজ কাকরাইলে বাংলাদেশের আলেমদের মাধ্যমে দাওয়াতের কাজ পরিচালনা হবে।

মাওলানা সাদ সাহেবের ফতোয়া ৬২টা এর মধ্যে একটি হলো মোবাইল পকেটে নিয়ে নামাজ আদায় করলে নামাজ হবে না। কেউ জায়েজ বললে সে উলামোয়ে সু।

আজ এমন কথা কেউ বললে যে এই ফতোয়া না মানলে সে উলামায়ে সু হবেন। এমন মনমনাসিকতার কারনে তার অন্তরে আল্লাহর আজমত নাই।

কারণ মুফতি সাহেব ফতোয়া দেয়ার পর আমরা লিখি আল্লাহু আলামু বিস সাওয়াব। আল্লাহ ভালো জানেন। কেউ নিজের ফতোয়াই ঠিক বললে সে আল্লাহর উপর আস্থা নাই বললেই চলে।

তিনি আরো বলেন, ফতোয়ার মারকাজ হলো দেওবন্দ। নিজামুদ্দিন কোন ফতোয়ার মারকাজ নয়। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে।

জোড়ে জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ মাদরাসার প্রিন্সিপাল পীরে কামেল আল্লামা আশরাফ আলী, জামিয়া বারিধারার মুহতামিম আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়ার মুহাতামিম আল্লামা আজহার আলী আনোয়ার শাহ, শাইখ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ, জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক, লালবাগ জামিয়ার মুহাদ্দিস মুফতি ফয়জুল্লাহ, বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রধান মুফতি, মুফতি এনামুল হকসহ বাংলাদেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম উপস্থিত রয়েছে।

এছাড়াও আল্লামা আহমদ শফী সম্মেলনে উপস্থিত হবেন এবং শেষ বয়ান রাখবেন।

আলেমরা গীবত করেন না নসিহত করেন: মাওলানা আবদুল মালেক

ওলামায়ে কেরামের পদচারণায় মুখরিত মোহাম্মদপুর

-আরআর

আওয়ার ইসলামের সব নিউজ আপডেট পেতে চোখ রাখুন ফেসবুক পেইজে



সম্পর্কিত খবর