আবদুল্লাহ তামিম: রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে তাবলিগ জমাতের সংকট নিরসনে আজ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ওয়াজাহাতি জোড়।
উপস্থিত থাকবেন হেফোজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীসহ দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম। সকাল ৮টায় শুরু হয় এ ওয়াজাহাতি জোড়।
জোড়ে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন আলেম উলামাসহ সর্বস্তরের মানুষ। মুসল্লিদের ভীড়ে কানায় কানায় ভরে ওঠেছে মুহাম্মদপুরের মাঠ।
বয়ানে টঙ্গী দারুল উলূম মাদরাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস মুফতি মাসউদুল করীম বলেন, দাওয়াত তাবলিগের মেহনতের উপর ভিত্তি করে মারকাজ গঠিত হয়েছে, কোনো দালানের উপর ভিত্তি করে মারকাজ গঠিত হয় না। কোনো জায়গা বা ব্যক্তির যখন দাওয়াতের মেহনতের মূল মাকসাদ থেকে দূরে সরে যাবে তখন ইসলাম কোনো ব্যক্তি পুজা আর দালান কোটার পুজাকে সমর্থন করে না।
জানা যায়, তাবলিগ জামাতের চলমান সংকট নিরসন ও উলামায়ে কেরামের অবস্থান পরিস্কারের লক্ষ্যে সারা দেশের উলামায়ে কেরাম, মাদরাসার ছাত্র শিক্ষক এবং আলেম উলামাদের স্বতস্ফুর্তভাবে উপস্থিত থাকতে বলেছেন আল্লামা আহমদ শফী।
দীনি দাওয়াতের অন্যতম মাধ্যম তাবলিগ জামাতে বেশ কিছুদিন ধরেই আলমি শুরা ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে (নিজামুদ্দীন) কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরেই সঙ্কট চলছে।
ক্রমেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মসজিদ ও বিভিন্ন মারকাজকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের অবস্থান স্পষ্ট হচ্ছে। এক পক্ষ আলমি শুরার দাবিদার (মাওলানা যোবায়ের আহমদ) আরেক পক্ষ দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বলে দাবি করছেন (সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম)।
শহর থেকে তৃণমূল পর্যায়ে এ বিভক্তি ছড়িয়ে পড়ছে সবখানে। ওলামায়ে কেরাম চলমান এ সঙ্কট নিরসন এবং উম্মতের এ বিশাল জামাতকে সুরক্ষার জন্য আজকের এ ওয়াজাহাতি জোড় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তাবলিগের ১১ শুরা সদস্যের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে গঠিত কাকরাইলের উপদেষ্ঠা কমিটি সক্রিয় করার দাবি জোড়ালো হতে পারে এ জোড়ে।
আরও পড়ুন: যেসব সিদ্ধান্ত আসতে পারে ওয়াজাহাতি জোড় থেকে
আরএম/