শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


আলেমদের তত্ত্বাবধানে শুরা মেনে তাবলিগের কাজ চলবে: মুফতি রুহল আমীন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহাপরিচালক ও খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন বলেছেন, দাওয়াতে তাবলিগের কাজ অন্যান্য সংগঠনের মতো নয়। কিছু মানুষ একত্রিত হয়ে পরামর্শ করে এ জামাতের কাজের নেজাম প্রস্তুত করেন। এখানে একক কোনো সংগঠক নেই, প্রয়োজনও নেই।

গতকাল বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গার মজলিসে উমূমির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মুফতি রুহুল আমীন বলেন, মাওলানা সাদ কান্ধলভীর কুরআন-হাদিসের কিছু অপব্যাখ্যা তাবলিগের প্রবীণ সাথীদের নিজামউদ্দিন মারকাজ থেকে বের করে দেওয়া এবং নিজেকে একক আমির দাবি করায় বিশ্বব্যাপী তাবলিগের কাজে যে অসন্তোষ এবং অস্থিরতা বিরাজ করছে, এমনকি দারুল উলূম দেওবন্দে তাবলিগের কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে- এর সমাধানের পথ হলো- তার আকিদা বিধ্বংসী বক্তব্য থেকে প্রকাশ্যে রুজু করা, প্রবীণ সাথীদের মারকাজে ফিরিয়ে এনে দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ করা।

মুফতি রুহুল আমীন তার বক্তব্যে আরও বলেন, হজরত সদর সাহেব হুজুর রহ. বাংলাদেশে তাবলিগের কাজের গোড়াপত্তন করেছেন। মাওলানা আবদুল আজিজ রহ. এ কাজের জন্য জিম্মাদার বানিয়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের আলেম-উলামা ও পীর-মাশায়েখদের হাতেই তাবলিগের প্রচার-প্রসার হয়েছে। সুতরাং আলেম-উলামাদের তত্ত্বাবধানে কাকরাইল মসজিদের শুরা মেনে তাবলিগের কাজ চলবে।

মুফতি রুহুল আমীন সবাইকে সতর্ক করে বলেন, আমরা খুব সচেতনতার সাথে লক্ষ্য করলাম- বাংলাদেশের একটি মহল মাওলানা সাদের এতায়াত করে বাংলাদেশে তাবলিগের কাজে ইখতেলাফ সৃষ্টির চেষ্টা করছে এবং দেশের শীর্ষ আলেমদের ‘পাকিস্তানপন্থী’ বলে প্রচার করে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার হীন চেষ্টায় লিপ্ত। দেশের উলামা-মাশায়েখদের এবং তাবলিগের সকল সাথী ভাইকে এ বিষয়ে সতর্ক এবং সচেতন থাকতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মুফতি রুহুল আমিন কাকরাইলের আলেম-উলামার শুরা সদস্যদের সহযোগিতা করার আহ্বানও জানান।

মজলিসে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা শামছুল হক, মাওলানা কবিরুল ইসলাম, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা আবুল কালাম, মুফতি মঈন, খাদেমুল ইসলামের জয়েন সেক্রেটারি মুফতি মোস্তাফা কাসেম, তানজিমুল মুদাররিসিনের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা জিনাত আলী, মাওলানা আতাউর রহমান, মুফতি হারুনুর রশীদ, মুফতি মাকসুদুল হকসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক মাদারাসার মুহতামিম, শিক্ষা সচিব ও শিক্ষক।

সভায়, ঢাকার মুহাম্মদপুরে শনিবারের (২৮ জুলাই) ওয়াজাহাতি জোর সফল করারও আহ্বান জানানো হয়।

ভুল বা অপব্যাখ্যার ব্যাপারে শরী‘আতের নির্দেশ

-আরআর


সম্পর্কিত খবর