শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

আল্লামা ইকবালকে নিয়ে অজানা ১০ তথ্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম
আওয়ার ইসলাম

মুহাম্মদ ইকবাল। ১৮৭৭ সিয়ালকোটে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তিতে তাকে আল্লামা বলে উপাধি দেয়া হয়।

আল্লামা ইকবাল ছিলেন একজন ভারতীয় মুসলমান কবি। তিনি রাজনৈতিক দার্শনিক ছিলেন। তিনি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তার কবিতার আকর্ষণ দিয়ে। তার ফার্সি ও উর্দু কবিতা আধুনিক যুগের ফার্সি ও উর্দু সাহিত্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আল্লামা ইকবাল তার ধর্মীয় ও ইসলামের রাজনৈতিক দর্শনের জন্যও বিশেষভাবে সমাদৃত ছিলেন। তার একটি বিখ্যাত চিন্তা দর্শন হচ্ছে ভারতের মুসলমানদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন।

এই চিন্তাই বর্তমান পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে। তার নাম মুহাম্মদ ইকবাল হলেও তিনি আল্লামা ইকবাল হিসেবেই অধিক পরিচিত।

আল্লামা শব্দের অর্থ হচ্ছে শিক্ষাবিদ। তার ফার্সি সৃজনশীলতার জন্য ইরানেও তিনি ছিলেন সমধিক প্রসিদ্ধ; তিনি ইরানে ইকবাল-ই-লাহোরি নামে পরিচিত ছিলেন।

০১. রাজা দ্বিতীয় জর্জ ১৯২২ সালে তাকে আল্লামা বলে উপাধিতে ভূষিত করেন।

০২. আল্লামা ইকবাল তিনটি বিয়ে করেন। গুজরাটি চিকিৎসকের মেয়ে করিম বিবির সাথে তার প্রথম বিয়ে হয়। তাদের বিচ্ছেদ হয় ১৯১৬ সালে। এরপর তিরি আরো দুইটি বিয়ে করেন।

৩. তিনি ট্রিনিটি কলেজ, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, লুডউইজ ম্যাক্সিমিলিয়ান ইউনিভার্সিটি, মিউনিচ থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন।

৪. আল্লামা ইকবালের এর প্রথম কূটনীতিক কবিতা আশআরে-ই-খোদা পশ্চিমা ভাষার লেখা। তাতে ধর্মতত্ত্বের দর্শন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

৫. আলমা ইকবালকে আরো দুইটি উপধি দেয়া হয়েছিলো। মুফাক্কিরে পাকিস্থান ও হাকিমুল উম্মাত।

৬. আল্লামা ইকবালকে খান বাহাদুর উদ্দীন আরবি ভাষায় পান্ডিত্ব অর্জন করায় তাকে আরবি সাহিত্যিক হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

৭. জার্মানিতে একটির রাস্তার নাম আছে আল্লামা ইকবাল সড়ক।

৮. জার্মান সরকাল তার সাহিত্য কর্মে মুগ্ধ হয়ে জার্মানের নাগরিকত্ব দিয়ে তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছিলো।

৯. আল্লামা ইকবাল একই সঙ্গে একজন কবি দার্শনিক ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তি ছিলেন।

১০. আল্লামা ইকবাল অমর হয়ে আছেন তার কয়েকটি কবিতা ও রচনার জন্য। এরমধ্যে আসরার ই খুদি, শিকওয়া ও জবাবে শিকওয়া, দ্যা রিকনস্ট্রাকশন ওফ রিলিজিয়াস থট ইন ইসলাম, বাআল ই জিবরাইল, জাভেদ নামা ইত্যাদি অত্যন্ত গভীর দার্শনিক ভাবসমৃদ্ধ রচনা।

আল্লামা ইকবালের লেখনিতে যে ইসলামি পুনর্জাগরণের আওয়াজ উঠেছিল তা সমসাময়িক অনেক ব্যক্তি ও আন্দোলনকে সাংঘাতিকভাবে প্রভাবিত করেছে।

তার দর্শনে প্রভাবিত হয়েছিলেন মুহাম্মদ আলি জিন্নাহসহ বড় বড় পন্ডিত।

তুর্কির কাসেম নানুতবি মাহমুদ আফেন্দির শিষ্য এরদোগান

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ