শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


ইহরাম অবস্থায় গোসল ফরজ হলে করণীয় কী?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

এখন থেকে দৈনন্দিন মাসআলা জানতে প্রশ্ন করতে পারেন আওয়ার ইসলাম ইসলাম প্রতিদিন বিভাগে। প্রশ্ন পাঠাতে হবে মেইল অথবা ফেসবুকে পেইজে। উত্তর আলেম, লেখক, খতিব ও শিক্ষক মুফতী তাজুল ইসলাম জালালী। আজ দেয়া হলো পাঠকের পাঠানো তিনটি প্রশ্নের উত্তর।

ইহরাম অবস্থায় গোসল ফরজ হলে করণীয় কী?
ভোলা থেকে জানতে চেয়েছেন শহীদুল ইসলাম

উত্তর: ইহরাম অবস্থায় স্বপ্নযোগে বীর্যপাত ঘটার কারণে অথবা নারীগণ মাসিক ঋতুস্রাব থেকে মুক্ত হওয়ার কারণে গোসল আবশ্যক হলে গোসল করে নিবে। তবে অবশ্যই

* ঘ্রানযুক্ত প্রসাধনী যেমন সুগন্ধি সাবান, শ্যাম্পু ইত্যাদি থেকে বিরত থাকবে। কেননা ইহরাম অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করা নিষেধ।

* শরীর ও মাথা সাবধানে আলতোভাবে মর্দন করবে, যাতে চুল না উঠে। চুল উঠলে সাদকা ওয়াজিব হবে। তবে আলতোভাবে মর্দনের সাথেও যদি কোন আগলা চুল ঝড়ে পড়ে তাতে কোন অসুবিধা নেই।

* গামছা, তোয়ালে বা কোন কাপড় দ্বারা চেহারা মুছবে না। কেননা ইহরাম অবস্থায় চেহারা ঢাকা নিষেধ। চেহারা মুছতে থাকলে সাময়িকভাবে চেহারা ঢাকা পড়ে। এসব বিষয় খেয়ালে রেখে অবশ্যই গোসল সেরে নিবে।

ইহরাম অবস্থায় মাথা মাসেহ
উম্মু তুহাইফা মরিয়ম, গাজীপুর

প্রশ্ন: ইহরামের নিয়তের পর মহিলাদের অজুতে মাথা মাসেহর পদ্ধতি কী? ইহরামের কাপড়ের উপরেই মাসেহ করবে নাকি মাথা থেকে কাপড় সড়িয়ে মাসেহ করবে?

উত্তর: মাথা মাসেহ বিধানটি অজুর অন্যতম ফরজ। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক সরাসারি মাথা মাসেহর আদেশ দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনের ভাষ্যে মানবীয় শরীরই উদ্দেশ্য সুতরাং কাপড়ের উপর মাসেহ যথেষ্ট হবে না। বরং প্রকৃত মাথাই মাসেহ করতে হবে।

তবে অবশ্য যথেষ্ট সর্তকতার সাথে আলতোভাবে মাথা মাসেহ করবে যাতে চুল না উঠে। যদি চুল উঠে তাহলে সাদকা ওয়াজিব হবে। আলতো ভাবে মাসেহর পরও যদি আগলা চুল ঝড়ে পড়ে তাতে কোন সমস্যা নেই।

মুহরিম ছাড়া হজ সফর
উম্মে হাবীবা, সিলেট।

প্রশ্ন: আমি এ বছর হজে যেতে চাই। আমার স্বামী বেঁচে নেই। হজের ফরমে মুহরিম হিসেবে আমার খালাতো ভাই এর নাম লেখিয়েছি। খালাতো ভাই আমাদের পরিবারেই থাকেন। আমার বয়স ৫০ বছর, আর খালাতো ভাইয়ের বয়স আরও বেশী। আমি কি তার সাথে হজে যেতে পারি?

উত্তর: কোন বয়সের সীমা রেখা না দিয়ে রাসূল সা. বলেছেন মুসলিম নারীগণ যেন মুহরিম ছাড়া তিন দিন তিন রাত বা এর চেয়ে অধিক দূরত্বের পথ অতিক্রম না করে (আশংকাজনক হলে এর চেয়ে কমও সর করতে পারবে না)।

ইসলামের দৃষ্টিতে খালাতো ভাই মুহরিম নয়। ফলে আপনিও খালাতো ভাই-র সাথে হজে যাওয়া শুদ্ধ হবে না। হজের মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি। আল্লাহর কোন বিধান লংঘন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া সম্ভব নয়।

নেক এর বদলায় যেখানে গুনাহর সম্ভাবনা এমন সফরের কী মানে হতে পারে? এমন সফর থেকে বেঁচে থাকা উচিৎ।

ধর্মীয় যে কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করুন ইসলাম প্রতিদিন বিভাগে

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ