আওয়ার ইসলাম : ভারতে দেশব্যাপী শরিয়ত আদালত বা দারুল কাজা চালুর প্রস্তাব খারিজ করে দিল আদালত। কেন্দ্রীয় আইন ও ন্যয়বিচার মন্ত্রী পি পি চৌধুরি বলেন, সরকার এমন উদ্যোগের সম্পূর্ণ বিরোধী, তাছাড়া তা আইনের যুক্তিতেও গ্রহণযোগ্য নয়।
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সনাল ল বোর্ডের দেশের সব জেলায় দারুল কাজা বা শরিয়ত আদালত চালুর ঘোষণায় বিতর্কের মধ্যেই তিনি বলেন, বিতর্ক নিষ্প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, এটা সংবিধানের বিরোধী। এআইএমপিএলবি-র আদালত স্থাপনের কোনও ক্ষমতাই নেই। আসলে এর পিছনে রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নেই।
সংগঠনের সচিব জাফরায়েব জিলানির সওয়াল, এই পদক্ষেপ ১০০ শতাংশ সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। দারুল কাজা ও দেওয়ানি আদালতের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই বলে দাবি করেন তিনি।
দেশে সুপ্রিম কোর্ট থাকতে কেন তাঁরা ইসলামি আইনে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য পৃথক আদালত গড়তে চাইছেন, প্রশ্ন করা হলে জিলানি বলেন, “এটা কোনও আদালতই নয়। আমরা বলছি এটা দারুল কাজা, যেখানে একজন কাজি লোকের সমস্যা, অভাব-অভিযোগ শুনবেন।
সেখানে তিনি বিবদমান দুটি পক্ষের বক্তব্য শরিয়তের মাপকাঠিতে খতিয়ে দেখে বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করবেন।
দুপক্ষ যদি তা মেনে নেয়, তাহলে দেওয়ানি আদালতে যাবে না। দেওয়ানি আদালতের সঙ্গে দারুল কাজার কোনও দ্বন্দ্ব নেই। সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই এর নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে।”
গতকালই জিলানি বলেন, উত্তরপ্রদেশে ৪০টি শরিয়ত আদালত আছে, বোর্ড দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে এমন আদালত গড়তে চায়। শরিয়তি আইন চালুর জন্য বোর্ড তাদের কমিটিকেও সক্রিয় করতে চায়। বিজেপি ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তারা এমন উদ্যোগের বিরোধিতা করবে।
আরও পড়ুন : ভারতের প্রতিটি জেলায় শরিয়া আদালত খুলবে ল বোর্ড