বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫


কন্যা জন্ম নিলে যে সুসংবাদ বাবা-মায়ের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি আবদুল্লাহ তামিম: নারী জন্মের আনন্দ, নারীত্বের মাঝে লুকিয়ে থাকা মাতৃত্বই শ্রেষ্টত্ব। মেয়েদের মেয়ে হয়ে জন্মানো কোন পাপ নয়। এটা গর্বের। মেয়েদের মাধ্যমেই পৃথিবীতে নবি, রাসুল, সিদ্দীকিন, সালেহিন, শহিদগণ এসেছেন।

তাই নারীকে অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই। বরং নারী সৃষ্টি আল্লাহর নিদর্শনসমূহের একটি। ভাল দ্বীনদার নারী জাহান্নামের প্রতিবন্ধকও বটে। মহান রাব্বুল আলামীন বলেন, “নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তায়ালারই।

তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন।

নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল। (সুরা শুরা-৪৯-৫০) আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদেরই শ্রেণী থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। (সুরা নাহল-৭২)

আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।

নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে। (সুরা রুম-২১) হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সা. বলেছেন, যার তিনটি মেয়ে থাকে বা তিনটি বোন থাকে সে যদি তাদের সাথে সব সময় সদয় ব্যবহার করে তবে অবশ্যই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (তিরমিযি-১৯১৮)

হযরত আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সা. বলেছেন, মেয়ে দিয়ে যাকে পরিক্ষার সম্মুখীন করা হয়, সে যদি তাদের বিষয়ে ধৈর্যধারণ করে তবে তারাই তার জন্য জাহান্নামের পথে পর্দা (বাঁধা) হয়ে দাঁড়াবে। (তিরমিযি-১৯১৯)

হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি দু’টো মেয়ে সন্তান লালন-পালন করবে সে আর আমি পাশাপাশি জান্নাতে প্রবেশ করব। এরপর তিনি দুটো আঙ্গুল ইশারা করে দেখালেন। (তিরমিযি-১৯২০)

হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেছেন, কোন ব্যক্তির দু’টি কন্যা সন্তান থাকলে এবং তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করলে যত দিন তারা একত্রে বসবাস করবে, তারা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। ইবনে মাজাহ হাদিস-৩৬৭০ শিষ্টাচার, কন্যা সন্তানদের সাথে পিতার সদাচরণ ও দয়া প্রদর্শন।

সুতরাং কুরআন হাদিস থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, নারীদের সৃষ্টিও আল্লাহর নিদর্শনাবলীর একটি। সুতরাং নারী হিসেবে কাউকে অবজ্ঞা করা যাবে না। তাদের নারী হয়ে জন্ম নেয়ার জন্য কোন প্রকার কটুবাক্য ব্যবহার করা যাবে না।

এ ক্ষেত্রে কটুবাক্য ব্যবহার সৃষ্টিকার্তাকে কটুবাক্য ব্যবহার করার নামান্তর। সুতরাং এ জাতীয় কবীরা গুণাহ থেকে বিরত থাকা চাই।

লেখক: বার্তাসম্পাদক, আওয়ার ইসলাম

খাবারে মাছি পড়লে করণীয় কী


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ