শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


কাল শোলাকিয়ায় উড়বে শক্তিশালী ক্যামেরাসমৃদ্ধ ড্রোন, নিরাপত্তায় মোড়া থাকবে মাঠ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাতের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানকে। এখানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়।

মুসল্লীদের সার্বিক নিরাপত্তায় থাকবে র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি। এদিকে প্রথমবারের মতো নিরাপত্তা কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ড্রোন। এ ছাড়া দূরের মুসল্লীদের জন্য থাকছে শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেন সার্ভিস।

১৮২৮ সালে ঈদের জামাতে এখানে সোয়া লাখ মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় সোয়া লাখিয়া। যা এখন শোলাকিয়া নামে পরিচিত।

এবার শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে ১’শ ৯১ তম ঈদ-উল ফিতরের জামাত। এতে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।এরই মধ্যে শেষ হয়েছে মাঠ সংস্কারের কাজসহ সব ধরনের প্রস্তুতি। শোলাকিয়ায় ঈদের নামাজ পড়লে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়, এমন বিশ্বাসে প্রতিবছর দেশ-বিদেশের লাখো মানুষের ঢল নামে এখানে। ।

এ দিকে ঈদ জামাত নির্বিঘœ করতে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। ২০১৬ সালে শোলাকিয়া মাঠের পাশে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার বিষটি মাথায় রেখে নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কঠোর নিরাপত্তা বলয় পার হয়ে আর্চ ওয়ের ভেতর দিয়ে মুসল্লীদের মাঠে প্রবেশ করতে হবে। চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি থাকছে ৫ প্লাটুন বিজিবি।

ঈদগাহ মাঠ ও এর আশপাশের এলাকাকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করে বসানো হবে ২৪টি নিরাপত্তা চেকপোস্ট। মাঠের প্রতিটি প্রবেশ পথে থাকছে ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা। নামাজের আগে পুরো মাঠ মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে সুইফট করা হবে। এরই মধ্যে মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আইন-শৃংখলা বাহিনী।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, ঈদের দিন র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করবে সাদা পোশাকের নিরাপত্তা বাহিনী। মাঠের প্রতিটি প্রবেশ পথে থাকছে ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা।

নামাজ শুরুর আগে পুরো মাঠ মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশী করা হবে। মাঠের চারপাশে থাকবে বিজিবি সদস্যরা। নিরাপত্তার সার্থে পাতলা জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু সঙ্গে নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, চারস্তরের নিরাপত্তায় বলয়ে পুরো এলাকাকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। ২৪টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৬ সালের জঙ্গি হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।

এসএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ