শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


সাড়া ফেলেছে শাদমান ইবনে শহীদের মিউজিক ভিডিও আরজি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বশির ইবনে জাফর: ময়মনসিংহ বিভাগের অন্যতম জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন নবরবি ইসলামিক সাংস্কৃতিক ফোরামের যুগ্ম নির্বাহী পরিচালক শাদমান ইবনে শহীদ।

ইসলামি সংগীত জগতে যাকে সম্ভাব্য নতুন তারকা হিসেবেই দেখছে সংগীতপ্রেমী শ্রোতা মহল।গত ১৯ রমজান ইউটিউবে প্রকাশ হল তার প্রথম শিক্ষামূলক মিউজিক ভিডিও ‘আরজি’।

নবরবির পরিচালক ইউসুফ বিন মুনিরের সুর করা সংগীতটির কথা লিখেছেন শাদমান ইবনে শহীদ নিজেই। মীর মাসুদ রানার পরিচালনায় ময়মনসিংহের বাকৃবি ক্যাম্পাস ও কেওয়াটখালী এলাকার রেলওয়ে কলোনীতে রেকর্ড করা এই সংগীতের ভিডিও চিত্রে দেখা যায় বিত্তশালী ধনবান বাবার বখে যাওয়া এক ছেলের সঠিক পথে ফিরে আসার কাহিনী। ভিডিওটির মূল প্রতিপাদ্য এটাই।

ভিডিওটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে বেশ সারা ফেলেছে শাদমানের এই সংগীতটি।

ভিডিওটি সংগীতটি সম্পর্কে বিশিষ্ট আলেম লেখক ও গবেষক মাওলানা লাবিব আব্দুল্লাহ ">আওয়ার ইসলামকে বলেন, ‘সংগীতটি আমি শুনেছি। এখানে আল্লাহর দরবারে হেদায়েতের নিবেদন করা হয়েছে৷ পরওয়ারদিগারের সমীপে সত্যপথের আকুতি ফুটে উঠেছে।

গানটি আবেগময় এবিং একটি মুনাজাত বলা যায়। মানুষের সবচে বড় নিয়ামত হলো হেদায়েত। সূরা ফাতিহা সহ পবিত্র কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বার বার বলেছেন ‘ইহদিনাস সিরাত’। সেই শ্রেষ্ট্র নিয়ামতের বিনীত প্রার্থণা করা হয়েছে এই সংগীতে৷

মোট কথা আধুনিক পরিবেশনায় আল্লাহর কাছে হেদায়েতর ভিখারি হয়ে একটি দুআ মূলত এই লিরিকে ব্যক্ত করা হয়েছে সূরের আবহে। যা সত্ত্যিই প্রশংসনীয়।’

নবরবির পরিচালক আরজি গানটির সুরকার ইউসুফ বিন মুনির বলেন, ‘আল্লাহর মেহেরবানিতে আমি যতগুলো ইসলামি গানের সুর করতে সক্ষম হয়েছি তার মধ্যে শাদমানের ‘আরজি’একটু ভিন্ন। সুর আরোপ সম্পন্ন হওয়ার পর বড়দের অনেককে শুনালে তারা শাদমানের গায়কী ও সুরে ভিন্নতর মুগ্ধ হওয়ায় থেমে থাকিনি আমরা।

আর শাদমান ইবনে শহীদ নবরবি প্রতিভাবান একজন প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী। সেই হিসেবে প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষরতা রেখেই কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। এবং আর্জি'র এই ছড়িয়ে যাওয়া ও হৃদয় গুলোতে জায়গা করে নেওয়াই শিল্পীকে সামনে নিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’

নিজের প্রকাশিত প্রথম গান নিয়ে শাদমান ইবনে শহীদ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ইসলামি সংগীতের প্রতি ঝোক। এই ঝোকটা একরকম ফ্যামিলি থেকেই বলা চলে। আমার বাবা-মা দুজনই সংস্কৃতিমনা। সেই ক্লাস ওয়ানে থাকতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এবং পুরষ্কার পাওয়া। এরপর থেকে অনেক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পুরষ্কার পেয়েছি। এরপর সংগীত শেখা হয় খন্দকার হারুনুর রশিদ ভাই ও শরীফ মাহমুদ ভাইয়ের কাছে।

আর আরজি গানটা মূলত মাস ছয়েক আগে লেখা। তো ইউসুফ ভাই চমৎকার একটা সুর করে এবং ভালো লাগে। এইতো জেড এইচ বাবু ভাই কম্পোজিশন করে আর এম এম আর ধ্রুব ভাই পরিচালনা করে।

বাবা-মার সাপোর্ট ছিল খুব। সব মিলিয়ে সকলের সহযোগিতা ও মহান রাব্বুল আলামিনের করুনায় আলোর মুখ দেখা।

ইনশাল্লাহ সাইফ ভাই ও আবু রায়হান ভাইয়ের কথায় সামনে একটি নাতে রাসুলের কাজ হবে। দুয়া সবার কাছে আমার জন্য ও নবরবির জন্য।’

এদিকে গত ১৭ রমজানে নবরবির সকল শিল্পিদের নিয়ে তাসবিহাত নামের একটি ভিডিও সংগীতও শ্রোতাদের বেশ ভালোবাসা কুড়িয়েছে ইতোমধ্যে।

সঙ্গীত দুটির লিংক


সম্পর্কিত খবর