শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


সৌদি আরবে আতঙ্কে বাংলাদেশের কর্মীরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফেরার জন্য ধরনা দিচ্ছেন অসংখ্য নারীকর্মী; গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত অনেক নারী নিয়োগকর্তার ভোগলালসারও শিকার হচ্ছেন।

উপরন্তু রাজকীয় দেশটির সরকার সেখানে ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ায় খুবই নাজুক অবস্থায় পড়ছেন বাংলাদেশিরা।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক শ্রমবাজার সৌদি আরব। প্রায় ২৫ লাখ বাংলাদেশি দেশটিতে কর্মসংস্থানের উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে অর্থাৎ মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৮ হাজার ৬ কর্মী সৌদি আরবে গেছেন।

জানা গেছে, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর তার নেওয়া পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশটির অর্থনীতিতে রূপান্তরের পালা চলছে। ইতোমধ্যেই নতুন শ্রমমন্ত্রী নিয়োগ পেয়েছেন। দেশটির শ্রমবাজারে শতভাগ সৌদি নাগরিকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সৌদির অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

শ্রমনির্ভর এই বাজারে যখন আয়ের চেয়ে বেড়ে যাচ্ছে জীবনযাত্রার ব্যয়, ঠিক তখন দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন এসব বাংলাদেশি। এদিকে সৌদি আরবের নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগকর্তার দেওয়া অনুমতিপত্র বা আকামা হারিয়ে বর্তমানে অবৈধ হয়ে পড়েছেন বহু বাংলাদেশি অভিবাসী।

অনেকে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক রয়েছেন। জানা গেছে, সৌদি সরকারের ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে সেখানকার বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যেই বিদেশি কর্মী ছাঁটাই করতে শুরু করেছে। নির্মাণ ও সরবরাহ খাতের ছোটখাটো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোও একই কৌশল নিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি।

বৈধভাবে গেলেও নিয়োগকর্তা আকামা নবায়ন না করায় তারা অবৈধ হয়ে পড়ছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক আটক হওয়া এড়াতে অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।   প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আকামা সমস্যা সমাধানে প্রতিদিনই সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাসে অভিযোগ করছেন এ দেশের শ্রমিকরা।

আরো পড়ুন- রোজা পালনে বয়স্কদের জন্য ৬ টিপস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ