আওয়ার ইসলাম: কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহ সভাপতি পদে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীমকে প্রাথমিকভাবে আলোচনায় আনার পর পুনরায় বাদ দেয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম।
রোববার ২৬ মে চরমোনাইতে রমজান উপলক্ষ্যে চলা ১৫ দিনব্যাপী তালিম তরবিয়াত অনুষ্ঠানের বয়ানে তিনি এ প্রতিক্রিয় ব্যক্ত করেন। বয়ানের ভিডিও ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে, যেখানে তিনি বেফাকের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, গত ৮ মে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত বেফাকের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে অনেক উলামায়ে কেরামকে কমিটির অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বৈঠকে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিমকে প্রাথমিকভাবে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার আলোচনা হলেও পরে তা বাতিল করা হয়। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিনই আলোচনা সমালোচনা অব্যাহত ছিল।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম তার বক্তব্যে এ ধরনের সিদ্ধান্তে চরমোনাই পীরকে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
তিনি ভিডিও বয়ানে ক্ষোভ নিয়ে বলেন, একটা লোক যতই ভালো হোক যদি দেখা যায় সে চরমোনাই মুরিদ তাহলে তার সঙ্গে যেন দেখা করা যাবে না।
সুলভ মূল্যে লুঙ্গি ও শাড়ি কিনতে যোগাযোগ করুন
তিনি বলেন, যেহেতু লোকটার মধ্যে সব যোগ্যতা রয়েছে এমনকি হাইআতুল উলয়া বা বেফাকের সহসভাপতি নয় এর চেয়ে বড় পদ নেয়ারও যোগ্যতা রয়েছে। ব্যক্তি পদও চায়নি, দরখাস্তও করেনি, দালালও লাগায়নি। ওরা নিজেরা সিদ্ধান্ত করে চরমোনাই পীর সাহেবকে সহসভাপতি ঘোষণা দেয়ার পরে যাদের চাপের কারণে তাকে লাঞ্ছিত অপমানিত করা হয়েছে, মনে করতে হবে ওরা দীনের নামে দীনকে ধ্বংস করার চক্রান্তে লিপ্ত আছে।
তিনি আরও বলেন, এই দিন দিন না আরও দিন আছে।
ভিডিওটি নিয়ে ফেসবুকে গতকাল থেকেই আলোচনা শুরু হয়। বিশেষ করে একটি পদবী নিয়ে এমন ক্ষোভ ও বডিল্যাঙ্গুয়েজ অধিকাংশ মানুষই পছন্দ করে করেননি। বেফাকের কমিটির আলোচনা স্থমিত হয়ে যাওয়ার বেশ কিছুদিন পর এমন প্রতিক্রিয়া কেন এমনটি জানতে মুফতি ফয়জুল করীমের নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আওয়ার ইসলামকে বলেন, বক্তব্যটি আমি শুনেছি। কেউ কেউ তার বডিল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে আপত্তি তুললেও তিনি কিন্তু বিষয়টি অযৌক্তিক বলেননি।
তিনি বলেন, বেফাকের সে মিটিংয়ে আমাদের লোকও উপস্থিত ছিলেন। তারা সেখান থেকে জেনে এসেছেন পীর সাহেবকে সহসভাপতি করা হয়েছে। কিন্তু পরে কখন স্থগিত করা হলো তা নিয়ে আমাদের বা কমিটির অন্য সদস্যরাও জানেন না।
চরমোনাই পীর সাহেব তো আমাদের মতো সাধারণ কেউ না। তাকে একবার কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা তারপর বাতিল করা এটা তো অবশ্যই আমাদের লোকদের খারাপ লাগবে। চরমোনাই তরিকার হাজার হাজার মাদরাসা রয়েছে সারাদেশে। পীর সাহেবে এগুলোকে সব সময় বেফাকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার এবং সে অনুযায়ী পরিচালনার চিন্তা করেই এসেছেন কিন্তু তার সঙ্গে যেরকমটা হয়েছে এটা একটা ছেলেখেলা। এটা কেউ ভালো চোখে দেখেনি।
বেফাকের সিলেবাস থেকে মাওলানা আবুল ফাতাহ রহ.’র বই স্থগিত
বেফাকের ফলপ্রকাশ হতে পারে ১৭/১৮ রমজান; চলছে নিরীক্ষণ
-আরআর