বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


একজন রোজাদার যেন একজন সৈনিক!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ ছফিউল্লাহ হাশেমী: মাহে রমজান মুমিনদের আত্মগঠন ও প্রশিক্ষণের জন্য এক অনন্য মাস। মুসলিম জাতির জন্য রহমতস্বরূপ এ মাসটি আত্মগঠন, নৈতিক উন্নতি, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও সামাজিক সাম্যের নিশ্চয়তা বিধানের এক অনন্য সুযোগ।

রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি পবিত্র মাহে রমজান ভালোভাবে অতিবাহিত করবে, তার পুরো বছর ভালোভাবে অতিবাহিত হবে।' তিনি আরো ইরশাদ করেন, 'আমার উম্মত যদি মাহে রমজানের গুরুত্ব বুঝতো, তাহলে তারা সারা বছর রমজান কামনা করতো।’

রমজানের পুরো মাস দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা একজন রোজাদারকে ইসলামি অনুশাসন অনুসরণে অভ্যস্ত করে তোলে। মাহে রমজানে রোজাদারকে শেষ রাতে সাহরি খেতে উঠতে হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পানাহার বন্ধ করে দিতে হয়। এমন অনেক কাজ আছে সারাদিন যেগুলো থেকে বিরত থাকতে হয়।

সূর্যাস্তের নির্দিষ্ট সময়ে ইফতার করতে হয়। সামান্য আগে-পরে করা যায় না। কিছু সময়ের জন্য আরাম-আয়েশেরও ব্যবস্থা আছে। তারপরই তারাবির নামাজের জন্য মসজিদের দিকে ছুটতে হয়। এভাবে পূর্ণ একটি মাস সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোজাদারকে সৈনিকের মতো মজবুত নিয়মে আবদ্ধ থাকতে হয়।

এরপর বাকি এগার মাসের জন্য বাস্তব ক্ষেত্রে মুক্ত করে দেয়া হয়। এ মাসে রোজাদার যে প্রশিক্ষণ লাভ করে পরবর্তী এগার মাসে বাস্তব কাজ-কর্মে যেন তা বাস্তবায়িত হয়, এটাই মাহে রমজানের মূল শিক্ষা।

তবে মনে রাখতে হবে, প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি হলেই কেউ ভালো সৈনিক হিসেবে গড়েওঠে না। ভালো সৈনিক হতে হলে সৈনিক জীবনের মূল দর্শন দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে তাকে পূর্ণ আস্থাশীল হতে হবে। তেমনি রমজানে মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেও অনেকেরই আত্মিক পরিশুদ্ধি আসে না। কারণ আত্মিক পরিশুদ্ধির জন্য প্রয়োজন ইসলামের মূল দর্শন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একত্ববাদের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস।

লেখক:  প্রাবন্ধিক ও কলেজ শিক্ষক


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ