শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সাভারবাসীর আস্থা ডা. এনামুর রহমান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফিয়ান ফারাবী, সাভার প্রতিনিধি

ঢাকা বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন সাভার। নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-৩ । এই এলাকায় রয়েছে ঢাকা ইপিজেট, সাভার ক্যান্টনমেন্ট, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়,বিকেএসপি, শেখ হাসিনা যুব প্রশিকক্ষন কেন্দ্রসহ অসংখ্য গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৫০ লক্ষ ভোটার অধ্যুষিত এলাকাটিতে রাজনৈতিক পরিবেশ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়।

সারা দেশের মত সাভার আসনটিতেও একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরগরম আলোচনা চলছে। কে কোন দলের প্রার্থী হচ্ছেন। কার কি অবস্থান । নির্বাচনে কে বিজয়ী হতে পারেন ? তা নিয়ে নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ ভোটারদের মাঝে নানা সমীকরণ চলছে।

বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন তা নিয়ে চলছে জোরাল আলোচনা। দলের শীর্ষ পর্যায় থেকেও জনগনের ম্যান্ডেট জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান করে জানাগেছে, ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে ৪ জন নেতা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য মুরাদ জং, বর্তমান সংসদ সদস্য ডা: এনামুর রহমান, যুবলীগ’র কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিনম, ঢাকা জেলা আলীগের সহ সভাপতি, ফিরোজ কবির।

এই ৪ জন নেতার বিষয়ে,আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসীর মতামত নিতেগেলে তারা জানান, সাবেক সাংসদ মুরাদ জং রানাপ্লাজা ঢ্রাজিডিতে এখন অনেকটাই বিতর্কিত।রানাপ্লাজার মালিক সোহেল রানার সাথে গাড়ো সম্পার্কই এর পেছনে প্রধান কারণ।

যুবলীগ নেতা ফারুক হাসান সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানান, ফারুক ভাই আমাদের পৌরসভা মেয়রের ছেলে। তাঁর বাবা খুব ভালো কাজ করছেন। তবে তিনি করে এসেছেন বরিশালে রাজনীতি। সাভারের কী হাল বুঝবেন!

তা ছাড়া এর আগে প্রশাসনিক দায়িত্বপালন করেও অভিজ্ঞ নন। আর ফিরোজ কবির তো গত বার উপজেলা নির্বাচন করলেন, কিন্তু সাফল্য ঘরে তুলতে পারেন নি। ব্যাপক ভরাডুবি দিয়ে হার মানতে বাধ্য হয়েছিল বিএনপির কাছে। সে হিসেব কষে দেখলে দেখা যাবে ১৮ এর এই নির্বাচনের জন্য আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে আন ফিট ফিরোজ কবির।

দল ও স্থানিয় উন্নয়নের দিকে লক্ষ করলে একথা বিনা দ্বিধায় বলা যায় ডাঃ এনামুর রহমান সবদিক থেকে ফিট।

রানাপ্লাজা ট্র্যাজিডির সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সাভারের রাস্তাঘাটের উন্নতি,মসজিদ - মাদরাসার উপর দানের দৃষ্টি বুলানো, ও বিশেষ করে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত সাভার গড়ে তোলাসহ আরো নানান প্রশংসনীশ কাজ দেখে সাভারের মানুষ ডাঃ এনামকে আবারো মনোনয়ন দেওয়ার দাবী জানাচ্ছে।

তবে যদি বৃহত্তর এই সাভারকে দুভাগে ভাগ করা হয় তবে দলের কোন্দল অনেকটাই কমবে বলে আশাকরা যা।

সব দিক বিবেচনা করে বলা যায় ঢাকা ১৯ ( সাভার-আশুলিয়া) ভাগ করা হলে কিছুটা হলেও সুবিধা হবে জনগণের। পাশাপাশি মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও স্বস্তি ফিরে পাবে।

আকবিরগণ রমজানে কতপারা কুরআন পড়তেন?
রমজানে গাজা সীমান্ত খোলা রাখবে মিশর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ