সুলাইমান সাদী: হাজার হাজার ফিলিস্তিনির বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ উপেক্ষা করেই সেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করা হলো।
আর একতরফা এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ইসরায়েলি পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করলো ৪৩ ফিলিস্তিনিকে। তাদের গুলি, বোমাই ২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেড়ে যাবে।
সোমবার (১৪ মে) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে তেলআবিব থেকে জেরুসালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করে। প্রবল বিতর্কিত এ পদক্ষেপ বিক্ষুব্ধ করে পুরো ফিলিস্তিন। কুড়িয়েছে ব্যাপক আন্তর্জাতিক নিন্দাও।
ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভের মধ্যেও রাজপথ বন্ধ করে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ স্থানান্তর কার্যক্রম।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। আজ সেটি চূড়ান্তভাবে স্থানান্তর করা হলো।
তবে একতরফা এমন দূতাবাস স্থানান্তরের অনুষ্ঠানে ইসরায়েল ও মার্কিন কর্মকর্তা ছাড়া আর কেউ পস্থিত ছিল না।
অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আজ আমরা জেরুসালেমের এ পবিত্র ভূমিতে দূতাবাস স্থানান্তরিত করে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলকে স্বীকৃতির কাজ সম্পন্ন করছি।
ট্রাম্প বলেন, আরো অনেক বছর আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চুক্তির জন্য আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তবে নির্বিচারে মানুষ মেরে দূতাবাস স্থানান্তর কেমন মানবতা ও শান্তি চুক্তি তা বিশ্বের কাছে প্রকাশ হয়ে গেছে।
ইসরাইলের ভয়াবহ হামলা; নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ আহত ১৩০০
-আরআর