শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বললেন রিটের পেছনে কাঠি নাড়ছেন মওদুদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্থগিতাদেশ উঠে যাওয়ায় আমরা আনন্দিত। ভোট স্থগিতে যে রিট আবেদন করা হয়েছিল তা ছিল আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

বিএনপির আইনজীবীদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জাহাঙ্গীর আলম।

আগামী ১৫ মে খুলনার সঙ্গে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনেও ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম আজহারুল ইসলাম সুরুজের আবেদনে গত ৬ মে নির্বাচনে তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট।

এই আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম এবং বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের আপিলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ বাতিল করে ভোট নেয়ার নির্দেশ দেন। আগামী ২৮ জুনের মধ্যে সেখানে ভোট শেষ করার জন্য বলেছেন আদালত।

বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে আইনজীবীরা এই শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত থাকলেও হাসান ছিলেন না। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম শুরু থেকেই ছিলেন। আদেশের পর তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে প্রতিক্রিয়াও জানান।

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এটা গভীর ষড়যন্ত্র ছিল (রিট আবেদন) আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিরুদ্ধে, আমরা সেটা বুঝেছি। এজন্যই আমরা সর্বোচ্চ আদালতে এসেছি।’

রিট আবেদনকারী সুরুজ আওয়ামী লীগেরই নেতা। তিনি নিজ দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন কেন, এমন প্রশ্ন ছিল জাহাঙ্গীরের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘উনি হচ্ছেন একজন ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা। আর উনি (মওদুদ) বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য হয়ে কেন এমন করলেন?’

সুরুজ গাজীপুরের নির্বাচন ঠেকাতে আগেও চেষ্টা করেছেন। ৬ মে উচ্চ আদালতে রিটের আগে তিনি রিট করেন গত ১০ এপ্রিল। সেদিন তার আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

তবে সেই আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হয়ে যায়। আর এই তথ্য গোপন করেই ৬ মে আবার আবেদন করেন শিমুলিয়ার চেয়ারম্যান।

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এপ্রিল মাসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ তার (সুরুজ) পক্ষে হাইকোর্টে শুনানি করেছিলেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে ভেটো দেয়ার পরে সর্বশেষ মামলাটি নিয়ে যায়। যখন আমাদের ওখানে নির্বাচনী কার্যক্রম চলছিল, আমরা মার্কাও পেয়েছিলাম।

প্রচারণা শুরু করেছি। সেই সময়ে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আবার হাইকোর্টে সেই মামলাটি একই চেয়ারম্যানকে এনে অন্য আইনজীবীর মাধ্যমে তারা আমাদের এলাকার নির্বাচনটা স্থগিত করে দিয়েছে।’

আরো পড়ুন- সরকারি হলো আরো ১২ মাধ্যমিক স্কুল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ