শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


পেয়াজের ঝাঁজের সঙ্গে দাম বেড়েছে আলু, রসুনের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:  আর দু'সপ্তাহ পরে শুরু হবে রমজান। এর আগেই পেঁয়াজের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে বেড়েছে আলু ও রসুনের দাম। এ ছাড়া দুই সপ্তাহ ধরে টানা দাম বাড়ছে ব্রয়লার মুরগির। তবে কমে এসেছে মসুর ডালের দাম।

সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। একই সময়ের ব্যবধানে আমদানি করা চীনা রসুন কেজিতে গড়ে ১৫ টাকা বেড়ে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে দেশি রসুনের দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি। এখন প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশনের গতকালের তথ্যে এসব পণ্যের দর বৃদ্ধি উল্লেখ করা হয়েছে।

খুচরা ব্যবসায়ী সুত্রে জানাগেছে, রমজানের আগে পাইকারি ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ কারণে বাজারে বেশি দাম দিয়ে এখন ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে। এ পণ্য দুটোর দাম পাইকার ও আমদানিকারকদের ওপর নির্ভর করছে। তারা দাম বাড়ানোয় বাজারে দাম বেড়ে গেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য সবজি প্রায় আগের সপ্তাহের দামে পাওয়া যাচ্ছে। তবে গত সপ্তাহে আবারও কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গতকাল প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়। তবে গরুর মাংস ৪৭০ থেকে ৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে মসুর ডালের দাম কেজিতে আরও পাঁচ টাকা কমেছে। এখন প্রতি কেজি মোটা মসুর ডাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আমদানি করা মাঝারি মসুর ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও দেশি মসুর ডাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া চাল, ভোজ্যতেল, চিনি, আটা-ময়দাসহ অন্যান্য পণ্য প্রায় আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

কেএল


সম্পর্কিত খবর