হামিম আরিফ: বাংলাদেশের তাবলিগের মারকাজ কাকরাইল মসজিদের অবস্থা বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতিদিনের মতো চলছে দৈনন্দিন আমল। নামাজ, তেলাওয়াত, তালিম ও তসবিহ তাহলিলে ব্যস্ত রয়েছেন তাবলিগের সাথীরা।
গত বিশ্ব ইজতেমায় দিল্লির নেজামুদ্দিনের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতার পর কাকরাইল মারকাজের শুরায় বিভক্তি দেখা দেয়। সে বিভক্তি বর্তমানে বেশিই দৃশ্যমান হয়ে পড়েছে। যে কারণে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল।
তবে সর্বশেষ শনিবার সকালে উদ্ভুত পরিস্থিতির পর শুরা ও প্রশাসনের বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে মারকাজের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
জানা গেছে, কাকরাইল মারকাজে এখন বহিরাগত কেউ নেই। ভেতরে যারা সর্বদায় আমলে থাকেন তারা অবস্থান করছেন। তবে বাইরে থেকে জামাত আসলে তাদের রুখ করে বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও, প্রতিদিনের মশওয়ারা, বয়ান ও তালিম চলছে আগের নিয়মেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মুকিম [মারকাজে অবস্থানকারী] আওয়ার ইসলামকে জানান, অন্যদিনের মতোই স্বাভাবিক কাজ কর্ম চলছে। তবে সবার মধ্যে একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে, আগের মতো বাইরের কেউ এসে ঝামেলা করে কিনা।
দেখুন ও সাবস্ক্রাইব করুন আওয়ার ইসলাম টিভি
তিনি জানান, অন্যদিনের মতো আজও সকালে মশওয়ারা হয়েছে। সকালের এই মশওয়ার ফয়সাল বা সিদ্ধান্তগ্রহণকারী ছিলেন মাওলানা রবিউল হক। জামাতও বেরিয়েছে অন্যদিনের মতো। তবে পরিমাণে কম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন মুকিম জানান, অন্যদিনের মতো সকাল ৯ টায় মশরাওয়া হয়। মশরাওয়ায় সারাদিনের কাজ বণ্টন করা হয়। জোহর ও আসরের পর বয়ানের জিম্মাদার ঠিক করা হয়। এছাড়া বাদ মাগরিব কারগুজারির হবে বলেও জানান তিনি।
তবে তিনি জানান, সব কিছু আগের মতো আছে, তবে সাথীদের মনে বড় কষ্ট, এই পরিস্থিতির জন্য।
‘কাকরাইলে যা ঘটছে তা খুবই দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক’
-আরআর