বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


গাজীপুর সিটি নির্বাচন; দুই আলেমের নগরপরিকল্পনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আতাউর রহমান খসরু
আওয়ার ইসলাম

আগামী ১৫ মে অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এতে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন ২ আলেম। তাদের একজন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজীপুর জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা নাসির উদ্দিন এবং অপরজন হলেন ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান।

গত ২৪ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর দু’জনই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন।

নির্বাচন নিয়ে তাদের অঙ্গীকার, পরিকল্পনা ও সার্বিক নির্বাচনী পরিস্থিতি বিষয়ে মূল্যায়ন জানতে তাদের মুখোমুখি হয় আওয়ার ইসলাম।

যৌথ সাক্ষাৎকারে দুই আলেম প্রার্থী নগর উন্নয়নে তাদের রাজনৈতিক ইচ্ছা, অভিজ্ঞতা, অভিলাষ ও পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। এতে চিন্তার সাদৃশ্য ও বৈচিত্র উভয়টি ফুটে উঠেছে।

মাওলানা ফজলুর রহমান গাজীপুর সদরের ভোগরা শিল্প এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় এবং ১৯৯৭ সালে জামিয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ থেকে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন।

হজরত হাফেজ্জি হুজুর রহ. তওবার রাজনীতির ডাক দিলে তিনি তাতে সাড়া দেন। পরবর্তীতে মুফতি ফজলুল হক আমিনী রহ. এর নেতৃত্বাধীন ইসলামী মোর্চায় যোগদান করেন। দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে এখন তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম-মহাসচিব।

মাওলানা ফজলুর রহমান ভোগরা খালিকিয়া দারুল উলুম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল।

এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ হজ্জ এসোসিয়েশন (হাব) এর কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বপালন করছেন।

তিনি প্রথম গাজীপুর সিটি নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু ইসলামী ঐক্যজোট তখন ২০ দলীয় জোটের অংশিদার থাকায় জোটের সিদ্ধান্তে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।

অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা নাসির উদ্দিন বরিশালে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তবে বেড়ে ওঠেন গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায়। এখানেই তার পৈতৃক বাস। টঙ্গী এলাকাতেই তার শৈশব, কৈশোর ও কর্মীজীবনের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন।

হিফজ করেছেন টঙ্গীর জামিয়া উসমানিয়া সাতাইশে এবং ঢাকার ফরিবাদ মাদরাসা থেকে তাকমিল সম্পন্ন করেন। এরপর দারুল উলুম মাদানীনগর থেকে আরবি সাহিত্যের উপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। তিনি ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শুরার সদস্য ও জেলা সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন।

বর্তমানে তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজীপুর জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

মাওলানা নাসির উদ্দিন জিন্নাত আলী জামিয়া ইসলামিয়ার প্রিন্সিপাল ও আল মদিনা জামে মসজিদ টঙ্গীর খতিব হিসেবে কর্মরত। দীর্ঘদিন রাজনীতি করলেও তিনি এই প্রথম নির্বাচন করছেন।

আওয়ার ইসলাম : নির্বাচন কেনো করছেন?

মাওলানা ফজলুর রহমান : আমরা রাজনীতি করি। রাজনীতির উদ্দেশ্য হলো দেশ, জাতি ও ইসলামের সেবা করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের শুধু নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য সৃষ্টি করেন নি। মানুষ হিসেবে দেশ, জাতি ও সমাজের জন্যও আমাদের কিছু করার আছে। সিটি মেয়র মানুষের সেবা করার একটি ভালো প্লাটফর্ম। সে দৃষ্টিকোণ থেকেই আমার নির্বাচনে আসা।

মাওলানা নাসির উদ্দিন : স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও আত্মীয়করণ করেছেন। আমরা অপশাসনের হাত থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়ার জন্য, দেশের মানুষের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন করি।

আমি নির্বাচন করছি নগরের মানুষের নাগরিক অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে।

হ্যান্ডবিল হাতে প্রচারে ব্যস্ত মাওলানা ফজলুর রহমান

আওয়ার ইসলাম : আপনার কি কখনো স্বপ্ন ছিলো যে নির্বাচিত হয়ে গাজীপুরবাসীর সেবা করবেন? নাকি দলের সিদ্ধান্তে নির্বাচনে এসেছেন?

মাওলানা ফজলুর রহমান : আমার স্বপ্ন ছিলো নির্বাচিত হয়ে আমার এলাকাবাসীর সেবা করবো। দল আমাকে স্বপ্নপূরণের সুযোগ করে দিয়েছে।

মাওলানা নাসির উদ্দিন : দুটোই। যেহেতু রাজনীতি করি তাই স্বপ্ন অবশ্যই ছিলো জনপ্রতিনিধি হয়ে তাদের সেবা করার। আর দল এখন আমাকে মনোনীত করে সে সুযোগ দিয়েছে। আল্লাহ তায়ালা আমাকে নির্বাচিত করলে আমি গাজীপুরবাসীর সেবক হিসেবে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।

আওয়ার ইসলাম : সিটি নির্বাচনে আপনার মূল অঙ্গীকার কী?

মাওলানা ফজলুর রহমান : আমার স্লোগান হলো, সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ সৃষ্টি করা। মানুষের মধ্যে দুর্নীতি ও মূল্যবোধের অবক্ষয় তৈরি হয়েছে; বিশেষত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে মূল্যবোধের যে অবক্ষয় তৈরি হয়েছে তা দূর করা।

মাওলানা নাসির উদ্দিন : গাজীপুর সিটির অধিবাসীদের জন্য আমার মূল অঙ্গীকার হলো, আমি এ নগরকে একটি আদর্শ ও পরিচ্ছন্ন নগর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজির মূলোৎপাটন করতে চাই।

আওয়ার ইসলাম : সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আপনারা কতোটা আশাবাদী?

মাওলানা ফজলুর রহমান : সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী নই। কারণ, সরকারের অনেক আচরণ সন্দেহজনক। সরকারি দলের প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। সরকারি অফিস আদালত ব্যবহার করছেন। এ সুবিধা অন্যরা পাচ্ছেন না। বিষয়গুলো আশঙ্কারই।

মাওলানা নাসির উদ্দিন : আমরা এখনি লক্ষ্য করছি, সরকারি দলের প্রার্থীসহ অনেকেই নির্বাচনী আচরণ বিধির বহির্ভূত অনেক কাজ করছেন। আমরা শঙ্কিত আদৌ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না? তবে আমরা আশাবাদী নির্বাচন কমিশন বিষয়গুলো রোধ করতে উদ্যোগ নিবে এবং সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করবেন।

আওয়ার ইসলাম : গাজীপুর সিটির প্রথম মেয়রের অভিজ্ঞতা থেকে একটি প্রশ্ন করতে চাই। আপনার দল যেহেতু ক্ষমতায় নেই বা ভবিষ্যতে না যায় সে ক্ষেত্রে কিভাবে কাজ করবেন?

মাওলানা ফজলুর রহমান : সিটি নির্বাচন একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হন সরকারের সঙ্গে সু-সম্পর্ক রেখেই কাজ করতে হয়। আমাকে যদি আল্লাহ নির্বাচিত করেন তবে আমি যে সরকারই থাক তাদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক রেখে কাজ করবো। সেটা করবো জনগণের স্বার্থে।

Image may contain: 7 people, people standing and outdoor

প্রচারে মাওলানা নাসির উদ্দিন

মাওলানা নাসির উদ্দিন : আপনার আশঙ্কা অমূলক নয়। আমরা যদি এই নগরীর সেবক নির্বাচিত হই তবে জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবো।

যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক আমরা তাদের কাছ থেকে মানুষের প্রাপ্য বুঝে নিবো ইনশাআল্লাহ! আমাদের আন্তরিকতা ও চেষ্টায় কোনো ত্রুটি থাকবে না।

আওয়ার ইসলাম : আপনি একটি ইসলামি দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। নগর উন্নয়নে ইসলামের মূলনীতি কী?

মাওলানা ফজলুর রহমান : আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, ‘যদি তাদের পৃথিবীতে ক্ষমতাসীন করা হয় তবে তারা নামাজ কায়েম করবে, জাকাত আদায় করবে, সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবে।’

শুধু মেয়র নয়; বরং সব জনপ্রতিনিধির জন্য আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব এটা। সুতরাং আল্লাহ যদি আমাকে নির্বাচিত করেন তবে নামাজ কায়েমের চেষ্টা করবো। কারণ নামাজের মাধ্যমেই সমাজের অন্যায়-অপকর্ম দূর হবে।

এটা আল্লাহর অঙ্গীকার। আজ সমাজে নামাজ কায়েম করা গেলে ৯০ ভাগ অন্যায় দূর হয়ে যেতো।

জাকাতের সুষ্ঠু বণ্টনের মাধ্যমে বৈষম্য দূর করবো। প্রশাসনের সহায়তায় অন্যায় কাজ রোধ করবো। ব্যক্তিগত উদ্যোগে সমাজ থেকে অন্যায় রোধ করা সম্ভব।

অর্থাৎ শুধু জাগতিক উন্নতি আমার লক্ষ্য নয়। বরং জাগতিক ও পরকালীন উভয় উন্নতিকে মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করে আমি এগিয়ে যেতে চাই।

মাওলানা নাসির উদ্দিন : নগর উন্নয়নে ইসলামের মূলনীতি জানতে চাইলে আমাদেরকে রাসুল সা. থেকে খোলাফায়ে রাশেদিন এবং পরবর্তী মুসলিম শাসকদের জীবন ও অবদান অনুসন্ধান করতে হবে।

রাসুলুল্লাহ সা. যখন মদিনায় যান তখন তার নাম ছিলো ইয়াসরিব বা রোগ-জড়াগ্রস্থ। তিনি তাকে মুনাওয়ারা বা আলোকিত শহরে পরিণত করেন।

রাসুল সা. যা করেছিলেন, তার প্রধান প্রধান দিকগুলো হলো, ক. নগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিলেন, খ. সব নাগরিকের খাদ্যনিরাপত্তা দান করেছিলেন, গ. মুসলিম ও অমুসলিম সকলকে সমান নাগরিক অধিকার প্রদান করেছিলেন, ঘ. আইনের শাসন বা সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছিলেন, ঙ. নাগরিকদের মাঝে সাধারণ ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করেছিলেন, চ. খাবার পানির উৎস, উপসনালয়সহ কিছু মৌলিক অবকাঠামো নির্মাণ করেছিলেন।

আমার মনে হয়, আদর্শ নগরের বৈশিষ্ট্য এগুলোই। এটাই ইসলামের নগর উন্নয়নের মূলনীতি।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, ‘হে প্রভু! আপনি এ জনপদকে নগরে পরিণত করুন এবং তার অধিবাসীদের ফলমূল দ্বারা রিজিক দিন।’

সুতরাং নগরবাসীর জীবন-সম্পদের নিরাপত্তাসহ মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তাই ইসলামের নগরনীতির প্রধান ধারা।

আওয়ার ইসলাম : আপনার চোখে গাজীপুর সিটির প্রধান প্রধান সমস্যাগুলো কী?

মাওলানা ফজলুর রহমান : সবচেয়ে বড় সমস্যা যানজট। রাস্তা-ঘাটের শোচনীয় অবস্থার কারণে জনগণ চরম দুর্ভোগের মধ্যে আছে। জলাবদ্ধতা, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সমস্যা অনেক। শ্রমিকদের অধিকার ও তাদের আবাসন সমস্যা প্রকট; বিশেষত নারী শ্রমিকরা অনেক নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস করছে। তারা যত্রতত্র নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির হচ্ছে দিনে-দুপুরে। মালিক ও উদ্যোক্তা সবাই আতঙ্কে থাকেন।

মাওলানা নাসির উদ্দিন : আমার দৃষ্টিতে গাজীপুর সিটির প্রধান সমস্যাগুলো হলো, রাস্তা-ঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার শোচনীয় অবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যা ও জলাবদ্ধতা, শিল্পবর্জ্যের অব্যবস্থাপনা, মানুষ আস্থা রাখতে পারে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই, সন্ত্রাস ও মাদকের সয়লাব।
বলতে গেলে, সারা শরীরে ক্ষত, মলম দিবো কতো?

আওয়ার ইসলাম : সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করবেন?

মাওলানা ফজলুর রহমান : আল হামদুলিল্লাহ! আমি ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন শহরে গেছি, এশিয়ার বিভিন্ন রাষ্ট্রে সফর করেছি। সেসব শহরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমি গাজীপুরকে একটি আধুনিক, সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নগরে পরিণত করবো। নাগরিক সমস্যাগুলোর সমাধান করবো।

প্রয়োজনে আধুনিক বিশ্বের নগরপরিকল্পনাবিদদের পরামর্শ নিবো। তাদের সহযোগিতায় প্ল্যান করবো।

মাওলানা নাসির উদ্দিন : সমস্যা সমাধানে আমাদের একটি মাস্টারপ্লান প্রণয়নের ইচ্ছে আছে। যেখানে আমরা আগামী একশো বছর সামনে রেখে নগরপরিকল্পনা করবো এবং সে অনুযায়ী নগরের সমস্যাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করার চেষ্টা করবো।

মাস্টারপ্লান প্রণয়নে আমরা অবশ্যই নগরের সাথে সংশ্লিষ্ট সব সেক্টরকে সম্পৃক্ত করবো এবং তাদের মতামত গ্রহণ করবো। এভাবে আমি সমস্যার সমাধান করতে পারবো আশা করি।

আওয়ার ইসলাম : ভোটারদের উদ্দেশ্যে যা বলতে চান?

মাওলানা ফজলুর রহমান : কুরআনে এসেছে, ‘আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা আমানতকে যথার্থ স্থানে আদায় করবে।’ ভোট একটি পবিত্র আমানত। আপনারা স্রোতে গা না ভাসিয়ে দীনদার-নেককার-পরহেজগার মানুষকে নির্বাচিত করুন।

যিনি হবেন যোগ্য ও তরুণ। যার কাজ করার মতো শারীরিক ও মানসিক সামর্থ্য রয়েছে।

মাওলানা নাসির উদ্দিন : ভোটারদের ন্যায় ও ইনসাফের কথা বলবো। তারা ভালো নেতা ও ভালো নীতির পক্ষে তাদের মত দেন। তারা যদি নীতিবান যোগ্য নেতা নির্বাচন করতে পারে তাহলে তারা ভালো থাকবে এবং এ নগরও ভালো থাকবে।

অন্তত এতোটুকু বলতে পারবো, রাষ্ট্রীয় বরাদ্দের সবটুকু দুর্নীতিমুক্তভাবে তাদের জন্য ব্যয় করা হবে।

আওয়ার ইসলাম : নির্বাচনী ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

মাওলানা ফজলুর রহমান : আপনাকে এবং আওয়ার ইসলাম পরিবারকে ধন্যবাদ।

মাওলানা নাসিরদ উদ্দিন : আমাকে স্মরণ করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। আওয়ার ইসলাম ও তার অসংখ্য অগণিত পাঠকের জন্য আমার সুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ