ওমর ফাইয়ায
আওয়ার ইসলাম
স্ত্রীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে আদালত ইসলামি আইনের উদাহারণ দিয়ে মুক্তি দিয়েছেন।
বিচারক বলেন, এই ব্যাপারটি উপেক্ষা করা যায় না যে ভিক্টিম একজন মুসলমান। তার বিয়ে হয়েছিলো ১৪ বছর বয়সের পর। ইসলামি আইন অনুযায়ী তখন সে প্রাপ্তবয়স্ক ছিলো।
২০১৩ সনের ২৯ নভেম্বর ওই মেয়ের বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে তার এক প্রতিবেশী অপহরণ করেছিল।
এডিশনাল সেশন কোর্টের বিচারক উম্মতে কামারের সামনে এই বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়, ২০১৩ সনের ৬ ডিসেম্বর মেয়েটি অভিযুক্তের সাথে থানায় গিয়েছিলো এবং বিয়ের ছবি দেখিয়ে বিয়ে করার কথা বলেছিলো।
তার জন্ম তারিখ ৩০ জুলাই ১৯৯৬। এ হিসেবে সে তখন নাবালেগ ছিলো। সে পুলিশকে জানায় অভিযুক্তের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর সে নিজের ইচ্ছায়ই জন্মু যেতে চায়।
মেয়েটি তখন কোনো ডাক্তারি পরীক্ষা করাতেও অস্বীকার করে। পরে তাকে শেল্টার হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর গত ২০১৪ সনের ২১ এপ্রিল মেয়েটি অভিযোগ করে, তাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছিলো। মেয়েটি অভিযোগ করে তরুণ তাকে বেহুশ করে জম্মুতে নিজের চাচির ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। সে আরও দাবি করে, পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য সে বিয়ের ছবি তুলেছিলো।
মেয়েটি জানায়, তাকে তিন দিন ওখানে রেখে ধর্ষণ করা হয়। সে অনুরোধ করেছিলো তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে, কিন্তু অভিযুক্ত তাকে হত্যার হুমকি দেয়।
ওই তরুণের বক্তব্য হলো, অন্য ধর্মের হওয়ায় তাকে এই মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
কোর্ট রায়ে বলেছে, মেয়ে যদিও অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলো কিন্তু সে অবুঝ ছিলো না। সে দিল্লি থেকে জম্মু যাওয়ার পথে পুলিশকে কোনো বিপদ সম্পর্কেও বলেনি। সে নিজের ইচ্ছায় অভিযুক্তের সাথে যেতে প্রস্তুত হয়েছিলো।
কোর্ট এও বলে যে ভিক্টিম চার মাস পর অভিযোগ দায়ের করেছে এ কারণেও অভিযোগটিকে ভিত্তিহীন মনে হয়।
রোজনামা খবরে থেকে ওমর ফাইয়ায এর অনুবাদ
এফএফ