শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


প্রধানমন্ত্রীসহ ৫৩ রাষ্ট্রপ্রধানের যোগদানে শুরু হচ্ছে কমনওয়েলথ সম্মেলন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুলাইমান সাদী :  ‘সাধারণ ভবিষ্যতের দিকে’ (টুয়ার্ডস কমন ফিউটার) এ প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে আজ শুরু হচ্ছে কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের ২৫তম সম্মেলন (সিএইচওজিএম)। লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বাকিংহাম প্যালেসে দুদিনব্যাপী এ শীর্ষ সম্মেলন  শুরু হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৩টি কমনওয়েলথ দেশের সরকারপ্রধানরা এতে যোগ দিচ্ছেন। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর জন্য উন্নতি, নিরাপত্তা, ন্যায্যতা এবং স্থায়িত্ব অর্জনের লক্ষ্য সামনে রেখে সরকারপ্রধানদের এ অংশ গ্রহণ খুবই উৎসাহমূলক বলে দাবি করা হচ্ছে।

উদ্বোধনের পর স্কটল্যান্ড কিউসির ল্যাংকেস্টার হাউজে দেওয়া আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনায় কমনওয়েলথ নেতারা যোগ দেবেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ও কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া ও থাকবেন এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।

এছাড়াও তারা বিকালে সেন্ট জেমস প্রাসাদে কমনওয়েলথ মহাসচিব আয়োজিত অপর এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে ল্যাংকেস্টার হাউজে কমনওয়েলথ নেতারা তিনটি কার্যনির্বাহী সেশনে অংশ নেবেন।

নিয়মানুসারে সিএইচওজিএম বৈঠকের আয়োজক দেশই এর সভাপতিত্ব করে। সিএইচওজিএম বৈঠকে আয়োজক দেশের কাছে কমনওয়েলথ’র সভাপতিত্ব স্থানান্তর করা হবে। মাল্টার প্রধানমন্ত্রী ড. জোসেপ মাসকাটের কাছ থেকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র কাছে এই সভাপতিত্ব স্থানান্তর হবে এবং ২০২০ সালে ২৬তম সিএইচওজিএম বৈঠক পর্যন্ত তিনি এ পদে থাকবেন।

২৫তম সিএইচওজিএম বৈঠকটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্র ভানুয়াটুতে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দ্বীপ রাষ্ট্রটি ঘূর্ণিঝড় পাম আক্রান্ত হওয়ায় এটি পরে ব্রিটেনে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়।

প্রথম সিএইচওজিএম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭১ সালে এবং এ পর্যন্ত এর ২৪টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ বৈঠকটি হয় মাল্টার ভ্যালেটাতে। সাধারণত প্রতি দুই বছর অন্তর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

কমনওয়েলথ অব নেশন্স বা কমনওয়েলথ এর সদস্য রাষ্ট্র সমূহ (ইংরেজি: Commonwealth of Nations) অতীতে ইংরেজ সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল এমন স্বাধীন জাতিসমূহ নিয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থা। বর্তমানে এই সংস্থার সদস্য সংখ্যা ৫২। এই সংস্থার সচিবালয় লন্ডনে অবস্থিত। ব্রিটেনই এর নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমনওয়েলথ অব নেশন্স গঠিত হয়।

কমনওয়েলথের প্রধান আন্তঃসরকার সম্বন্ধীয় সংস্থা হিসেবে কমনওয়েলথ সচিবালয় ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সদস্যভূক্ত দেশের সরকার ও দেশের মাঝে পরামর্শ এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এটি গঠিত হয়েছে। সদস্যভূক্ত সরকারের কাছে এটি সামগ্রীকভাবে দায়বদ্ধ। পর্যবেক্ষক হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করে থাকে।

মহাসচিব কমনওয়েলথ সম্মেলন, মন্ত্রীদের ঘিরে সভা আয়োজন, পরামর্শমূলক সভা, কারিগরী আলোচনার ব্যবস্থা নেন। সরকারের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় কারিগরী সহাযোগিতাসহ কমনওয়েলথের মৌলিক রাজনৈতিক মূল্যের বিষয়েও সহায়তা করে থাকেন।

আরো পড়ুন : যৌন সহিংসতার কারণে জাতিসংঘের কালো তালিকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী


সম্পর্কিত খবর