বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


মিথ্যা সাক্ষ্য ও শিরক সমপর্যায়ের অন্যায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফারুক ফেরদৌস: কারো ব্যাপারে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া জঘন্য অপরাধ। কুরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে মিথ্যা স্বাক্ষ্যকে অবৈধ সাব্যস্ত করা হয়েছে।

হযরত খুরাইম ইবনে ফাতেক রা. বর্ণনা করেন, রাসুল সা. একদিন সকালে নামায পড়ালেন। নামাযের পর তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন এবং বললেন,
عُدِلَتْ شَهَادَةُ الزُّوْرِ بِالْاِشْرَاكِ بِاللهِ.
মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়াকে আল্লাহর সাথে শরিক করার সমান করে দেওয়া হয়েছে।

এই কথাটি রাসুল সা. তিন বার বললেন। তারপর তিনি এই আয়াত তেলাওয়াত করলেন,
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ، وَاجْتَنِبُوْا قَوْلَ الزُّوْرِ، حُنَفَاءَ لِلّهِ غَيْرَ مُشْرِكِيْنَ بِه.
তোমরা নাপাক বস্তু অর্থাৎ মূর্তি থেকে বাঁচো এবং মিথ্যা কথা থেকে বাঁচো। আল্লাহরই অনুগত থাকো, তার সাথে শরিক করো না।

হযরত আবু বকর রা. থেকে বর্ণিত রাসুল সা. বলেন,
اَلاَ اُحَدِّثُكُمْ بِاَكْبَرِ الْكَبَائِرِ؟ قَالُوْا : بَلىٰ يَارَسُوْلَ اللهِ! قَالَ : اَلْاِشْرَاكُ بِاللهِ وَعُقُوْقُ الْوَالِدَيْنِ، قَالَ وَجَلَسَ وَكَانَ مُتَّكِئًا قَالَ : شَهَادَةُ الزُّوْرِ اَوْ قَوْلُ الزُّوْرِ، فَمَا زَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُهَا حَتّىٰ قُلْنَا لَيْتَه سَكَتَ.
আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে বলে দেবো না? সাহাবীরা বললেন, নিশ্চই হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেন, আল্লাহর সাথে শরিক করা এবং বাবা মাকে কষ্ট দেওয়া।

বর্ণনাকারী বলেন, তিনি হেলান দিয়ে বসে ছিলেন, এরপর তিনি সোজা হয়ে বসে গেলেন এবং বললেন, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া। তারপর রাসুল সা. এই কথাটি বার বার বলতে লাগলেন। এক সময় আমরা মনে মনে বললাম, যদি তিনি চুপ হয়ে যেতেন!

এফএফ

আরো পড়ুন- সূরা হুদ-এ আল্লাহর পাঁচ পরামর্শ!


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ