হাওলাদার জহিরুল ইসলাম: যুদ্ধ বিগ্রহে বিপর্যস্ত উত্তর আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশে একটি মাদরাসায় হামলার পর সেখানে উপস্থিত বেঁচে যাওয়া কয়েকজন মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন।
তারা বলেন, কুন্দুজের তালেবান নিয়ন্ত্রিত দাশত-ই আরচি জেলায় ওই হামলার প্রধান টার্গেট ছিলো কয়েকজন শীর্ষ তালেবান নেতা।
ওই হামলায় দেড় শতাধিক বেসামরিক মানুষ নিহত হন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই হাফেজে কুরআন ও আলেম ছিলেন। মূলত একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তারা। যেখানে হাফেজ শিক্ষার্থীদের সনদ (সার্টিফিকেট) প্রদান করা হচ্ছিল।
আফগান গণমাধ্যমের ভাষ্য মতে, তালেবানদের লক্ষ্য করে হামলা করা হলেও সেখানে তালেবানের কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। তালেবান অধ্যুষিত এলাকা হওয়াতেই আফগান সামরিক বাহিনী এ ধরনের হামলা চালিয়েছে।
তাদের বক্তব্য, এত মানুষ নিহত হলেও তাদের মধ্যে তালেবান নেতা রয়েছেন বলে কেউ সনাক্ত করতে পারেনি। এতে বোঝা যায়, সেনাদের আসল উদ্দেশ্য মূলত কী ছিল।
প্রাদেশিক রাজধানী কুন্দুজের হাসপাতালের সামনে বুক চাপড়ে সন্তান হারানো এক বাবা আহাজারি করে বলছিলেন, আমি মহান শাক্তিমান আল্লাহর কাছেই বিচার দিচ্ছি।
আল্লাহ অবশ্যই হামলাকারীদের বিচার করবেন। ভাগ্নে হারানো এক মামা হাসপাতালের সামনে কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, মনে হচ্ছে বর্তমানে অমুসলিম সরকার দেশ পরিচালনা করছে!
সূত্র: ডেইলি কুদরত
‘কুরআনে হাফেজদের রক্তে ভেসে যাচ্ছিল মেঝে’
যেভাবে আমি আফগানিস্তানে নিহত হলাম
বিধ্বস্ত কুন্দুজের হে আম্মাজান! আপনি হাসুন