শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


দুই হত্যার আসামি ১০ বছরের শিশু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মিঠামইন ঢাকী ইউনিয়নের চারিগ্রাম এলাকার ফরিদ মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ মিয়া। স্থানীয় মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সে। ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম সনদ অনুসারে তার জন্ম ২০০৮ সালের পহেলা মে।

সে হিসেবে তার বয়স দশ বছরেরও কিছু কম। কিন্তু এই শিশুর বয়স ২২ বছর দেখিয়ে তাকে আসামি করা হয়েছে একটি জোড়া হত্যা মামলার। বুধবার শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে কিশোরগঞ্জের আদালতে এসেছিল আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে।

আমল গ্রহণকারী আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আনিসুল ইসলাম আব্দুল্লাহকে শিশু আদালতে পাঠান। পরে শিশু আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শাহজাহান কবীর পুলিশ রিপোর্ট না দেয়া পর্যন্ত শিশুটির জামিন মঞ্জুর করেন।

গত বছরের ৯ই নভেম্বর দুপুরে খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মিঠামইনের চারিগ্রামে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে তিন সহোদরসহ উভয় পক্ষে পাঁচ জন নিহত হন। নিহত তিন সহোদর হলেন, খাসসিংহা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ফরদিস মিয়া (৫০), মাখন মিয়া (৪০) ও মাসুম মিয়া (৩৫)। আর অপর পক্ষে নিহত হন পার্শ্ববর্তী পশ্চিম হাটি গ্রামের সুজন মিয়ার ছেলে রাজিব (২৫) ও মৃত আইয়ুব রেজার ছেলে মুকুল (২৫)।

এই পাঁচ খুনের মধ্যে রাজিব ও মুকুল হত্যার ঘটনায় রাজিবের বাবা সুজন মিয়া বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ৮৬ জনকে আসামি করে মিঠামইন থানায় ১৫ই নভেম্বর হত্যা মামলা করেন। এতে শিশু আব্দুল্লাহর বয়স ২২ বছর দেখিয়ে তাকে ৭৫ নম্বর আসামি করা হয়। তার বড়ভাই বাশারুল মিয়া (৩২)-ও এ মামলার আসামি।

বুধবার শিশুটি প্রথমে মামলার অপর ৬ আসামি বড়ভাই বাশারুল মিয়া, তৈয়ব মিয়া (৫০), হাসান মিয়া (২৪), মো. মুতাব্বীর (৪৮), মস্তু মিয়া (৪০) ও ইব্রাহিম মিয়া (৩৫)-র সঙ্গে আমল গ্রহণকারী আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আনিসুল ইসলাম আব্দুল্লাহকে শিশু আদালতে পাঠিয়ে অপর ৬ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শিশু আদালত আব্দুল্লাহর জামিন মঞ্জুর করেন।

কেএল


সম্পর্কিত খবর