বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার ৬ দিনের সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

বেফাকের শীর্ষ ৩ দায়িত্বশীলের বিরুদ্ধে মামলা; হাজিরার নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আতাউর রহমান খসরু
আওয়ার ইসলাম

বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের শীর্ষ ৩ দায়িত্বশীলকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা যৌথ জেলা জজ ৪র্থ আদালত। তারা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা আশরাফ আলী, মহাপরিচালক মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী ও মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস।

বেফাকের চাকরিচ্যূত কর্মী মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামানের দায়ের করা এক মামলার শুনানির জন্য তাদের আদালত হাজির হওয়ার এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান নিজ চাকরিতে বহাল করাসহ বকেয়া বেতন ও পাওনা পরিশোধের দাবিতে ২৮ মার্চ এ মামলা করেছেন বলে আওয়ার ইসলামকে জানিয়েছেন।

আওয়ার ইসলামের হাতে আসা মামলার নথিতে দেখা যাচ্ছে আদালত আগামী ৯ মে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন এবং সেদিন বেফাকের শীর্ষ এ ৩ দায়িত্বশীলকে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বেফাকের মহাপরিচালক আল্লামা যোবায়ের আহমদ চৌধুরীও আদালতে হাজির হওয়ার নোটিশ পেয়েছেন বলে আওয়ার ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, আমরা একটি নোটিশ পেয়েছি। যেহেতু সে মামলা করেছে তাই আইনী প্রক্রিয়ায় তার মোকাবেলা করা হবে।

মামলার বাদী মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান আওয়ার ইসলামকে বলেছেন, আমাকে কোনো প্রকার কারণ দর্শানো ব্যতীতই চাকরিচ্যূত করা হয়েছে। আমি বেফাকের দায়িত্বশীলদের কাছে এর কারণ জানতে চেয়েছি। কিন্তু তারা কোনো কারণ আমাকে জানান নি।

তিনি বলেন, আমি বেফাকের মুরব্বিদের কাছে এর প্রতিকার চেয়েছি। তাদের মধ্যে রয়েছেন মুফতী মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুনিরুজ্জামান, মাওলানা মোস্তফা আজাদ, আল্লামা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় নি।

তিনি আরও জানান, আমরা না পেরে সাংবাদিক সম্মেলন করি। তাতেও কোনো সমাধান হলো না। তখন বাধ্য হয়ে আমরা একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠাই। তারা প্রায় ৩৫দিন পর উত্তর দেন এবং বলেন তারা আমাদের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেন নি।

আমরা সিদ্ধান্ত চাইলে তারা ডেকে নিয়ে বললেন, আপোষে আসলে আপনাদের কিছু অর্থ ধরে দেয়া হবে। না হলে কিছুই পাবেন না। তখন আমরা বাধ্য হয়ে মামলা দায়ের করি।

তিনি বেফাকের কাছে প্রশ্ন করে বলেন, গত ১৬ নভেম্বর ছাটাইকৃত কর্মীদের অপরাধ তদন্তে যে কমিটি করা হয়েছে তারা কেনো এখনও ফলাফল প্রকাশ করলেন না?

মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী চাকরিচ্যূত কর্মী মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামানের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা লিখিতভাবে তাদের চাকরিচ্যূতির কারণ না জানালেও মৌখিকভাবে জানিয়েছি। আবার তারা যখন আমাদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে তখনও আমরা আইনজীবীর মাধ্যমে তার ও তাদের চাকরিচ্যূতির কারণ জানিয়েছি।’

এ সময় তিনি কর্মী ছাটাইয়ের কারণ তুলে ধরতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যা বলার আদালতেই বলবো। মিডিয়াতে বিষয়গুলো আনতে চাচ্ছি না।’

আরও পড়ুন: ‘কুরআনে হাফেজদের রক্তে ভেসে যাচ্ছিল মেঝে’

তবে মাওলানা যোবায়ের আহমদ স্বীকার করেন, মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান ও মাওলানা ওমর ফারুকের ব্যাপারে আমরা চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে পরবর্তীতে তাদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আইনজীবীর মাধ্যমে জানানো হবে বলেছিলাম। কিন্তু তারা অপেক্ষা না করে মামলা করেছে।

বেফাক মহাপরিচালক জানান, ‘চাকরিচ্যূত মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামানকে ১৪৩৫ হিজরি তথা ২০১৪ সালেই চাকরিচ্যূত করা হয়। আমেলার সিদ্ধান্তে তাকে ছাটাই করা হয়। মরহুম মাওলানা আবদুল জব্বার জাহানাবাদী তাকে নিজস্ব ক্ষমতা বলে চাকরিতে বহাল করেন। কিন্তু তৎকালীন আমেলা বা পরবর্তী আমেলা তাকে গ্রহণ করে নি।’

মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামানও ২০১৪ সালে তার চাকরিচ্যূতির কথা স্বীকার করেন।

যদিও তাদের চাকরি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ছিলো না । তারপর মামলার মাধ্যমে চাকরিতে ফেরার পথ চিরদিনের জন্য বন্ধ হলো বলে মন্তব্য করেন যোবায়ের আহমদ চৌধুরী।

অন্যদিকে বেফাকের অপর চাকরিচ্যূত কর্মী মাওলানা ওমর ফারুকও চাকরিতে পুনঃবহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।

সাবস্ক্রাইব করুন আওয়ার ইসলাম টিভি

আগামী ১৮ এপ্রিল তার মামলা আদালতে গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আওয়ার ইসলামকে জানিয়েছেন মাওলানা ওমর ফারুক।

একইভাবে চাকরিচ্যূত কর্মী মনির ও যোবায়ের ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে একটি জিডি করে রেখেছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই ও আগস্টে দুই দফায় বেফাক ১০ কর্মী ছাটাই করে। তাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে অতিরুক্ত ওভার টাইম দেখিয়ে তা আদায়ের জন্য আন্দোলন করার অভিযোগ আনা হয়।

তাদের কেউ কেউ অফিসের পরামর্শ মতে পদত্যাগপত্র জমা দেন আবার কেউ কেউ তা দিতে অস্বীকার করেন।

বেফাকের দ্বিতীয় সভাপতি আল্লামা হারুন ইসলামাবাদী রহ.-এর বর্ণিল জীবন


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ