আওয়ার ইসলাম: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৭ থেকে ৮ মাস। এর আগে ১৫ মে অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুর ও খুলনা এবং জুলাইয়ের মধ্যে হবে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যকার দ্ব›দ্ব-কোন্দল ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে মন্ত্রী, এমপি ও জেলা-উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্ব›দ্ব-কোন্দল এখন প্রকটভাবে দৃশ্যমান। এ নিয়ে দলের মাঠ পর্যায়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে। প্রত্যেকেরই লক্ষ্য দলীয় মনোনয়ন পাওয়া।
অনেকেই নিজ নিজ বলয় সৃষ্টি করে মাঠ পর্যায়ে নিজের শক্তি জানান দিচ্ছেন। সমাবেশ-পাল্টা সমাবেশও করছেন। একে-অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগারও করছেন। পরস্পরবিরোধী গ্রুপের নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন। মামলাও হচ্ছে পাল্টাপাল্টি। নিজ দলের নেতাকর্মীরাই প্রতিপক্ষ গ্রুপকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছেন, এমন ঘটনাও কম নয়।
এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষমতাসীন দল সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা জন্ম নিচ্ছে। এ সমস্যা এখন বেশিরভাগ জেলায়- যা গড়াচ্ছে উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে। সিটি করপোরেশন ও জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নেতাকর্মীদের মধ্যকার এ ধরনের সমস্যা এখন আওয়ামী লীগ হাইকমান্ডের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মূলত নিজ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্ব›দ্ব কোন্দলের কারণেই আওয়ামী লীগের যোগ্য প্রার্থীও জিততে পারেনি। অথচ মেয়র থাকাকালীন তারা সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন কাজ করেছেন। এ ছাড়া প্রায় প্রতিটি জেলা, মহানগর ও উপজেলায় অন্তর্কোন্দল লেগেই আছে।
আরো পড়ুন- রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল