বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


এইচএসসি পরীক্ষা শুরু আজ; প্রশ্নফাঁস রোধে ৯ দফা সুপারিশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম

উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে ওই পরীক্ষা।এইচএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৩ মে পর্যন্ত চলবে। এ ছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৪ মে থেকে শুরু হয়ে ২৩ মে শেষ হবে।

চলতি বছর ৮ হাজার ৯৪৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। এরমধ্যে ছয় লাখ ৯২ হাজার ৬৭৩ জন ছেলে এবং ছয় লাখ ১৮ হাজার ৭২৭ জন মেয়ে।মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৭৯টি এবং মোট কেন্দ্র বেড়েছে ৪৪টি।

প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এবার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং বন্ধ থাকবে। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেটকোড নির্ধারণ করা হবে।

গত বছরের মতো এবারও পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল নম্বরে সেটকোড ব্যবহারের নির্দেশনার এসএমএস যাওয়ার পর প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে হবে।

প্রশ্ন ফাঁস রোধে টিআইবির ৯ সুপারিশ : পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে এবং মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রশ্ন ফাঁস রোধ সম্ভব হচ্ছে না। তাই প্রশ্ন ফাঁস রোধে নয়টি সুপারিশ দিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থাটি।

গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই সুপারিশ তুলে ধরেন টিআইবির গবেষণা পরিচালক রফিকুল হাসান।

আজ সোমবার সারা দেশে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষাকে সামনে রেখে সচেতনতার অংশ হিসেবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবং সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) যৌথভাবে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

 প্রশ্নফাঁস রোধে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-এর সুপারিশগুলো হলো—

১. পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) (সংশোধন) আইন, ১৯৯২’ এর ৪ ধারা পুনরায় সংশোধন করে শাস্তির মাত্রা পূর্বের ন্যায় সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান প্রণয়ন ও নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করাG

২. কোচিং সেন্টার নিষিদ্ধকরণে সরকারের ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২’-এর অস্পষ্টতা দূর করা এবং কোচিং বাণিজ্যে বন্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্টদের প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করা।

৩.প্রশ্ন ফাঁস রোধ ও সৃজনশীল পদ্ধতির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে গাইড বইয়ের আদলে প্রকাশিত সহায়ক গ্রন্থাবলি বন্ধে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা।

৪. তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে তদারকি বাড়ানো ও প্রচলিত আইনের অধীনে শাস্তি নিশ্চিত করা।

৫. ধাপ কমিয়ে প্রশ্ন প্রণয়ন, ছাপানো ও বিতরণের কাজটি পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা এবং পরবর্তীতে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা।

৬. প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে গঠিত যে কোনো তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৭.শিক্ষা ও পরীক্ষা পদ্ধতি এবং ব্যবস্থাপনাগত যে কোনো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া এবং যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করা;

৮. প্রশ্ন ফাঁস রোধে বহুনির্বাচনী প্রশ্নব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা;

৯.পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে প্রশ্নপত্রের একাধিক সেট রাখা।


সম্পর্কিত খবর