শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


সুখী দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে রাসুল সা.-এর ৮ হাদিস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম

দাম্পত্য জীবনে স্বামী স্ত্রীর মাঝে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলতেই থাকে। সম্পর্ক এই ভালো তো এই খারাপ। এই ভালো খারাপের মধ্যে জীবন কখনো উপভোগ্য হয়ে ওঠে আবার বিরক্তিও চলে আসে। এই সম্পর্ক যতক্ষণ ভালো থাকে ততক্ষণ মনে হয় দুনিয়াটা বেহেশত। কিন্তু সম্পর্ক খারাপ গেলেই ঘর বাহির সব নরক হয়ে ওঠে। তাই সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য স্বামী স্ত্রী দুজনকেই কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।

রাসূল সা. এমন দম্পতিদের জন্য কিছু নির্দেশনা বয়ান করেছেন। যা মেনে চললে দাম্পত্য জীবন অনেকটাই ভালোবাসায় পূর্ণ হবে। আসবে অফুরন্ত শান্তি। ইসলাম স্বামীর জন্য স্ত্রী আর স্ত্রীর জন্য স্বামীকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।  নিচে এ সম্পর্কিত রাসুল সা. এর ৮টি হাদিস উল্লেখ করা হল -

১। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. বর্ণনা করেন, রাসুল সা. বলেন, গোটা দুনিয়াই সম্পদে পরিপূর্ণ। এর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম সম্পদ হলো পূর্ণবতী স্ত্রী। [মুসলিম]

২। হজরত আবু হুরাইয়া রা. বলেন, রাসুল সা. ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তির চরিত্র ও আচরণ সবচাইতে উত্তম, ঈমাদের দৃষ্টিতে সে-ই পূর্ণাঙ্গ মুমিন। তোমাদের মধ্যে সেসব লোক উত্তম, যারা তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম। [তিরমিযি]

৩। হজরত উম্মে সালামা রা. এর বর্ণনা মতে, রাসুলে রা. বলেন, কোন স্ত্রী লোক যদি এমন অবস্থায় মারা যায় যে, তার স্বামী তার ওপর সন্তুষ্ট, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। [তিরমিযি]

৪। হজরত আবু হুরাইরা রা. বলেন, রাসুল সা. ইরশাদ করেন, কোনো ব্যক্তি যদি তার বিছানায় স্ত্রীকে ডাকে; কিন্তু স্ত্রী তাতে সাড়া না দেয়ায় স্বামী তার উপর অসস্তুষ্ট হয়ে রাত কাটায়, তাহলে ফেরেশতারা ভোর পর্যন্ত তার (স্ত্রী) প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করতে থাকে। [বুখারী ও মুসলিম]

৫। হজরত আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেন, স্বামী বাড়িতে উপস্থিত থাকা অবস্থায় তার অনুমতি ছাড়া স্ত্রীর পক্ষে (নফল) রোজা রাখা বৈধ নয়। তার অনুমতি ছাড়া কোন ব্যক্তিকে তার ঘরে ঢোকার অনুমতি দেয়াও তার (স্ত্রীর) জন্য বৈধ নয়। [বুখারী ও মুসলিম]

৬. হজরম মুয়াজ ইবনে জাবাল রা. -এর বর্ণনা মতে, রাসুলে আকরাম সা. ইরশাদ করেন, যখনই কোন নারী তার স্বামীকে দুনিয়াতে কষ্ট দিতে থাকে, তখনই (জান্নাতের) হুরদের মধ্যে তার সম্ভাব্য স্ত্রী বলে, (হে অভাগিনী!) তুমি তাকে কষ্ট দিওনা। আল্লাহ তোমায় ধ্বংস করুক ! তিনি তোমার কাছে একজন মেহমান। অচিরেই তিনি তোমাকে ছেড়ে আমাদের কাছে চলে আসবেন। [তিরমিযী]

৭. হজরত আবু হুরাইরা রা. বলেন, রাসুল সা.ইরশাদ করেন, কোনো ব্যক্তি যদি তার বিছানায় স্বীয় স্ত্রীকে ডাকে; কিন্তু স্ত্রী তাতে সাড়া না দেয়ায় স্বামী তার উপর অসস্তুষ্ট হয়ে রাত কাটায়, তাহলে ফেরেশতারা ভোর পর্যন্ত তার (স্ত্রী) প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করতে থাকে। [বুখারী ও মুসলিম]

৮. হজরত উসামা ইবনে যায়েদ রা. বর্ণনা করেন, রাসুলে আকরাম [সা.] বলেন, আমার অনুপস্থিতে আমি পুরুষদের জন্য মেয়েদের চাইতে বেশী ক্ষতিকর ফিতনা (বিপর্যয়) আর রেখে যাইনি। [বুখারী ও মুসলিম]


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ