সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত কেন পড়বেন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শফিকুর রহমান : কুরআন আল্লাহর কিতাব। এতে রয়েছে ১১৪ টি সুরা ও ৬৬৬৬ আয়াত। প্রত্যেকটি আয়াতই আলাদা আলাদা ফজিলত বহন করে। প্রয়োজনের তাগিদে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে নাজিল হয়েছে এ আয়াতগুলো। এর কোনোটির তেলাওয়াতে কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার কোনোটির নিয়মিত আমলে মিলে আল্লাহর বিশেষ রহমত ও অসীম নেয়ামত। এমন তিনটি আয়াত হলো সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত। আসুন জেনে নেই, এ তিন আয়াত পাঠের ফজিলত সম্পর্কে।

হজরত মাকাল ইবনে ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে তিন বার আউজু বিল্লাহিস সামিঈল আলিমি মিনাশশাইত্বানির রাঝিমসহ ‘সুরা হাশরের’ শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য আল্লাহ তাআলা ৭০ হাজার রহমতের ফেরেশতা নিয়োগ করবেন।

সে ফেরেশতাগণ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার ওপর আল্লাহর রহমত প্রেরণ করতে থাকবে। যদি ঐ দিন সে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন তবে সে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করবে।

আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যার সময় এ আয়াতগুলো পাঠ করবে তাঁর জন্যও আল্লাহ তাআলা ৭০ হাজার রহমতের ফেরেশতা নিয়োগ করবেন। যারা তাঁর ওপর সকাল হওয়া পর্যন্ত রহমত প্রেরণ করতে থাকবে। আর যদি ঐ রাতে সে মৃত্যুবরণ করে তবে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করবে। (সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৩০৯০)

Fazilat

আমলের পদ্ধতি  : মূলত উক্ত হাদীসে বর্ণিত ফযীলত পাবার আশায় আপনি দেখেছেন গ্রামের মসজিদগুলোতে এ আমলটি ইমাম সাহেবগণ মুসল্লিদের শিক্ষা দিয়ে থাকেন। এভাবে ইমাম পড়িয়ে দেয়া এ আমলের পদ্ধতি নয়। বরং একাকী পড়ার বিধান। কিন্তু যেহেতু মুসল্লিদের অনেকেই এটি জানে না, তাই ইমাম সাহেবগণ এটি পড়িয়ে থাকেন। আর ঢাকায় সবাই ব্যস্ত মানুষ। তাই হয়তো এ আমলটি করে না। বাকি অনেক মসজিদে এ আমল ঢাকাতেও চালু আছে। আবার অনেকে একাকী এ আমলটি করে থাকেন।

আল্লাহ তাআলা সবাইকে এ ফজিলতপূর্ণ আমলটি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ