আবরার আবদুল্লাহ : সদ্য সমাপ্ত মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যারা ভোট দেননি তাদের আর্থিক জরিমানার হুমকি দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
মিসরের নির্বাচন কমিশনের একজন সিনিয়র কমিশনার বলেছেন, বিনা কারণে যারা ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলো তারা আর্থিক জরিমানার মুখোমুখি হবে।
তিনি আরও বলেন, ৩০ বছরের বেশি বয়সী ভোটারা জরিমানার মুখোমুখি হবে। তাদের ৫ শত মিসরীয় পাউন্ড বা ২৮ ডলার দিতে হবে।
মিসরীয় নির্বাচন আইনে ভোট না দিলে দিলে জরিমানার কথা থাকলেও তা কখনো কার্যকর করা হয় নি।
স্বৈরশাসকদের প্রতি অনাস্থার কারণে মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কখনো ৪৭ ভাগের বেশি ভোট পড়ে নি।
অন্যদিকে ভোটারদের উৎসাহিত করতে অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করে মিসরীয় নির্বাচন কমিশন। প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের জন্য রাখা হয় খাবারের প্যাকেট এবং প্রত্যেক ভোটার প্রতি বরাদ্দ করা হয় ৫০ মিসরীয় পাউন্ড। এছাড়াও ৫ শত ভোটারকে উমরা করানোর ঘোষণাও দেয়া হয়।
এসবই করা হয় স্বৈরশাসক আবদুল ফাত্তাহ সিসিকে নির্বাচিত করতে। কেননা কার্যত নির্বাচনে তার কোনো প্রতিদ্বন্ধী নেই।
উল্লেখ্য, গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেনারেল আবদুল ফাতাহ সিসি ২য় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
তবে ইতিমধ্যে সে তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বন্দী করেছে এবং সামরিক বাহিনীর চাপে নির্বাচন থেকে সরে গিয়েছে কয়েকজন।
সিসির একমাত্র প্রতিদন্ধী মুসা মোস্তফা মুসা নির্বাচনের পূর্বেই সিসির প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে ইতিহাস পাল্টানোর রাজনীতি: স্বৈরশাসকরা কি রক্ষা পাবে?